শুভাবরি ওয়েবডেস্ক,17সেপ্টেম্বর,কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে ২০ সেপ্টেম্বর দিনটি ‘বাংলা ভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে কিনা এই নিয়ে এক বিতর্ক সভায় অর্কপ্রভ সরকার আজ কলকাতা প্রেসক্লাবে হাজির করেছিলেন আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সরদার আমজাদ আলী, শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, সপ্তর্শী সরকার, মাফিজা খাতুন।
২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস হিসেবে আমরা পালন করলেও গত বছর ২০ সেপ্টেম্বর উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ এর দাড়িভিটায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন দুই বাঙালি যুবক। তাদের স্মরণ করে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ ২০ সেপ্টেম্বর দিনটি ‘বাংলা ভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করতে চলেছে।
এর পক্ষে সপ্তর্শী সরকার বললেন, রাজীব সরকার এবং তাপস বর্মন আরো অনেকের সাথে দাড়িভিট হাই স্কুলে বাংলা শিক্ষকের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন । তাদের বাংলা ভাষার এবং বাংলা শিক্ষক নিয়োগের দাবিকে সম্মান জানাতেই এই দিবস পালন করার ইচ্ছে রয়েছে তাদের । সরদার আমজাদ আলী বলেন,যদি বাংলা ভাষা দিবসের দাবি করা হয় তাহলে আগামী দিনের সাঁওতাল এবং অন্যান্য ভাষা দিবস হওয়ার প্রবণতা দেখা যাবে। বামপন্থী এবং আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ঘটনার সূত্রপাত ধরে বললেন, বাংলা ভাষা আন্দোলন এবং তার বাংলা ভাষার শিক্ষক নিয়োগের জন্য আন্দোলনের শহীদ হওয়া এক নয়। যদিও তিনি বলেন যে কেন্দ্রীয় সরকার UAPA নতুনভাবে তৈরি করার পর আগামী দিনে আমাদের বাক স্বাধীনতার অধিকার (১৯/ক ধারা) থাকবে কিনা সেটি এখন সন্দেহের মধ্যে রয়েছে।

সূত্র ধরিয়ে দিতে এসে অর্ক বারবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, বাঙ্গালী আজ সর্বভারতীয় হবার চেষ্টায় বাংলাভাষাকে ছেড়ে ইংরেজি এবং হিন্দির ব্যবহার করছে তাদের কথা বলার সময় । এরা আত্মঘাতী বাঙালি ।
২০ সেপ্টেম্বরকে ‘বাংলা ভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে কি হবে না, এটি নিয়ে রাজনৈতিক গরম কতটা হবে কি হবে না, সেটিকে বাদ দিয়ে যদি স্বতন্ত্র ভাবে চিন্তা করা যায় যে, বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র করে অন্তত বেশ কিছু বাঙালি এক ছাদের নীচে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে একত্রিত হয়েছিল আজ। আগামী দিনে হয়তো সঙ্ঘবদ্ধ বাঙালির রূপরেখা দেখা যাবে এইভাবে।