ইমদাদুল হক

ফেলে যাওয়া রুমালখানি পর্ব ১৫

১৫ তম পর্বের পর…..

দৌড়ে গিয়ে যে রুমালটা দিয়ে আসবো তা আর সম্ভব না। দুহাতে রুমাল ধরে দাঁড়িয়ে রইলাম। চোখ জুড়ে রাজকুমার আর রুমাল থেকে আসছে রাজকুমারের গন্ধ। বাড়ির কেউ কিছু টের পেল না, রুমালটা আমি ফ্রকের ভিতর, বুকের কাছে গুঁজে রাখলাম। তারপর থেকে আমার ধ্যান জ্ঞান স্বপ্ন প্রেম সব ওই মানুষটা। ওই যে তাঁকে একটু পানি খাওয়ালাম, ওই যে তাঁকে একটু দেখলাম, চোখ থেকে মুহূর্তের জন্য সরাতে পারি না তাঁকে। মুহূর্তের জন্য ভুলতে পারি না। কাউকে কিছু বলি না, কাউকে কিছু বুঝতে দেই না, অতিযত্নে, অতি গোপনে রুমালটা রেখে দিয়েছি বুকের কাছে। যেন তিনি আমার বুকে আছেন। আমার শরীরে মিশে আছেন। গভীররাতে, নির্জন একাকী দুপুরে, বিকেল কিংবা সন্ধ্যায় কখনও বের করি রুমালটা। নাকের কাছে ধরি। তাঁর গন্ধ পাই। সেই গন্ধে আমার বুক ভরে যায়, মন ভরে যায়। এত সুন্দর হয় পুরুষ মানুষ? এই মানুষকে ছাড়া আমি

বাঁচবো কেমন করে? তাঁকে পাওয়ার তো কোনও উপায় আমার নেই! তিনি রাজকুমার আর আমি ভিকিরিনি। কোথাকার কোন হতদরিদ্র গৃহস্থ ঘরের কুরূপা না হলেও রূপবতীও তেমন নই। অতি সাধারণ, সামান্য এক কিশোরী মেয়ে। কোথায় তিনি, কোথায় আমি!

ক্রমশ…….