উপ-রাষ্ট্রপতি শ্রী এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু দেশের শক্তি নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে গবেষণা ও উদ্ভাবনমূলক প্রয়াস গ্রহণের মাধ্যমে তেল উৎপাদন ক্ষমতা আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। দেশকে শক্তিক্ষেত্রে আত্মনির্ভর করে তোলার আহ্বান জানিয়ে শ্রী নাইডু পেট্রোলিয়ামের আরও বেশি উৎপাদন বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে হবে এবং শক্তিক্ষেত্রে আরও উদ্ভাবনমূলক প্রয়াস নিতে হবে।
ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল সংগ্রহকারী দেশ হিসেবে উল্লেখ করে শ্রী নাইডু বলেন, দেশে মোট চাহিদার ৮০ শতাংশের বেশি তেল আমদানি করতে হয়। এই প্রেক্ষিতে শ্রী নাইডু দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন বাড়লে একদিকে তা যেমন বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয়ে সহায়ক হবে, অন্যদিকে তেমনই জাতীয় স্তরে শক্তি নিরাপত্তাও বৃদ্ধি পাবে। পলি মাটির অববাহিকায় অনুসন্ধানমূলক কাজকর্ম বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধান ছাড়পত্র নীতি কার্যকর করেছে। শ্রী নাইডু বিশাখাপত্তনমে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এনার্জি প্রতিষ্ঠানের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা বলেন। উল্লেখ করা যেতে পারে, এই প্রতিষ্ঠানটি পেট্রোলিয়াম ক্ষেত্রে গবেষণার এক অগ্রণী কেন্দ্র, যা ২০১৭-তে সংসদীয় আইন অনুযায়ী জাতীয় স্তরের প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পেয়েছে।
ক্রমবর্ধমান শক্তি চাহিদায় জনসংখ্যা ও শিল্পায়নের প্রভাব উল্লেখ করে শ্রী নাইডু বলেন, ভারতে প্রাথমিকভাবে শক্তি চাহিদা ২০৪৫ পর্যন্ত বার্ষিক ৩ শতাংশের বেশি হারে বৃদ্ধি পাবে অনুমান করা হয়েছে। অন্যদিকে, সারা বিশ্বে বার্ষিক এই বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ১ শতাংশেরও কম। এই প্রেক্ষিতে শ্রী নাইডু ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এনার্জি সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে দক্ষ মানবসম্পদের চাহিদা পূরণে সেতু হিসেবে কাজ করার পরামর্শ দেন।
ভারতে সৌর, বায়ু ও জোয়ার-ভাটা থেকে উৎপাদিত পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির অপার সম্ভাবনা রয়েছে বলে উল্লেখ করে উপ-রাষ্ট্রপতি এই উৎসগুলির সম্ভাবনা পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োগ ধাপে ধাপে কমানোর পরামর্শ দেন।
প্রতিষ্ঠানের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস প্রতিমন্ত্রী শ্রী রামেশ্বর তেলি, অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ডঃ এস.আপ্পালা রাজু, প্রতিষ্ঠানের পরিচালন পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক পি.কে. বণিক, প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা অধ্যাপক ভি.এস.আর.কে. প্রসাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।