ওয়েব ডেস্ক; ২২ এপ্রিল : ভারতের পুনর্ণবীকরণযোগ্য শক্তি উন্নয়ন সংস্থা লিমিটেড-আইআরইডিএ যা দেশের পরিবেশ বান্ধব শক্তি ক্ষেত্রে অর্থলগ্নীকারী এনডিএফসি হিসেবে স্বীকৃত সর্বকালীন বার্ষিক নিট মুনাফা অর্জন করেছে। কর প্রদানের পর তাদের নিট মুনাফার পরিমাণ ১২৫২.২৩ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থ বছরের তুলনায় এই বৃদ্ধির হার ৪৪.৮৩ শতাংশ। সংস্থা ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে তাদের অনুৎপাদক সম্পদের পরিমান ০.৯৯ শতাংশে নামিয়ে এনেছে্। বিগত অর্থবছর অর্থাৎ ২০২২-২৩-এ যার পরিমান ছিল ১.৬৬ শতাংশ। বার্ষিক হিসেবের ভিত্তিতে অনুৎপাদক সম্পদের পরিমান উল্লেখযোগ্যভাবে ৪০.৫২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

আইআরইডিএ-র ঋণ প্রদানের পরিমান ২৬.৮১ শতাংশ বেড়ে ৩১ মার্চ ২০২৪-এ দাঁড়িয়েছে ৫৯,৬৯৮.১১ কোটি টাকা। ২০২৩-এর ৩১ মার্চ এই ঋণ প্রদানের পরিমান ছিল ৪৭,০৫২.৫২ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংস্থাটি বার্ষিক সর্বকালীন রেকর্ড পরিমান ঋণ অনুমোদন করেছে, যার পরিমান ৩৭,৩৫৩.৬৮ কোটি টাকা। চলতি আর্থিক বছরেই ঋণ প্রদান করেছে ২৫,০৮৯.০৪ কোটি টাকা। ঋণ অনুমোদন এবং ঋণ প্রদানের বৃদ্ধির হার যথাক্রমে ১৪.৬৩ শতাংশ এবং ১৫.৯৪ শতাংশ। সংস্থার ইতিহাসে যা এক সর্বকালীন রেকর্ড।

সংস্থার মূল সম্পদ ৪৪.২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩১ মার্চ ২০২৪-এ দাঁড়িয়েছে ৮৫৫৯.৪৩ কোটি টাকা। ২০২৩-এর মার্চে বর্ষ শেষের হিসেবে যা ছিল ৫৯৩৫.১৭ কোটি টাকা।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে অভূতপূর্ব এই আর্থিক ফলাফল ঘোষণা উপলক্ষে আইআরইডিএ-র বোর্ড অফ ডিরেক্টরর্স ১৯ এপ্রিল ২০২৪ এক বৈঠকে মিলিত হন। এই অসাধারণ সাফল্য এবং সুস্থায়ী বৃদ্ধিতে সংস্থার কৃতিত্বের তাঁরা প্রশংসা করেন।

সংস্থার আর্থিক সাফল্যে সন্তোষ ব্যক্ত করে আইআরইডিএ-র চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রদীপ কুমার দাস ভারতের পুনর্ণবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রের প্রসারে সংস্থার সার্বিক দায়বদ্ধতার কথা জানান। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, বিনিয়োগকারী এবং অংশীদারদের ক্ষেত্রে এই ফল এক ইতিবাচক ইঙ্গিত বহন করে। তিনি এক্ষেত্রে অংশীদারদের অবিচল নিষ্ঠার প্রশংসা করে নতুন ও পুনর্ণবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। সেইসঙ্গে বোর্ড অফ ডিরেক্টরর্সের নির্দেশিত পথেরও প্রশংসা করেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, আইআরইডিএ তাদের বার্ষিক নিরীক্ষার পর প্রাপ্ত ফলাফল কেবলমাত্র ১৯ দিনের মধ্যে ঘোষণা করে এক নতুন বেঞ্চমার্ক স্থাপন করেছে। ব্যাঙ্কিং এবং এনবিএফসি পরিসরে যার দ্রুততম বার্ষিক পরীক্ষিত আর্থিক ফলাফল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এক্ষেত্রে তা সেবির ৬০ দিনের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার বহু পূর্বেই ঘোষিত হল। গতবছর তারা তাদের বার্ষিক আর্থিক ফলাফল ঘোষণা করেছিল ২৫ দিনের মধ্যে।