ওয়েব ডেস্ক ; ২৪ জুলাই : কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০২৪-২৫ কেন্দ্রীয় বাজেটে ডিজিটাল গণ পরিকাঠামো, তৈলবীজে ‘আত্মনির্ভরতা’, সব্জি উৎপাদনের জন্য বৃহদাকারের ক্লাস্টার এবং চিংড়ি চাষের জন্য উৎপাদনের নেটওয়ার্ক তৈরিতে আর্থিক সহায়তা সহ একগুচ্ছ ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
কৃষি ক্ষেত্রে ডিজিটাল গণ পরিকাঠামো:
রাজ্যগুলির সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বে বিভিন্ন পাইলট প্রকল্পে সাফল্যের পথ ধরে কৃষি ক্ষেত্রে কৃষক এবং তাঁদের জমিকে তিন বছরের মধ্যে ডিজিটাল গণ পরিকাঠামো (ডিপিআই)স-র আওতায় আনা হবে। কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করে বলেন, দেশের ৪০০টি জেলায় ডিপিআই-এর মাধ্যমে খরিফ শস্যের ডিজিটাল সমীক্ষা চালানো হবে। তিনি বলেন, ৬ কোটি কৃষক এবং তাঁদের জমির বিস্তারিত তথ্য নথিভুক্ত করা হবে। অর্থমন্ত্রী জানান, দেশের ৫টি রাজ্যকে জনসমর্থ-ভিত্তিক কিষাণ ক্রেডিট কার্ড প্রদান করা হবে।
তৈলবীজ ও ডালের জন্য মিশন:
তৈলবীজ এবং ডালের ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে সরকার এগুলির উৎপাদন, মজুত ও বিপণন ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে। আজ বাজেট পেশ করে শ্রীমতী সীতারমন বলেন, সর্ষে, বাদাম এবং সয়াবিনের মতো তৈলবীজে আত্মনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে সরকার কৌশল প্রণয়ন করছে।
সব্জি উৎপাদন ও সরবরাহ-শৃঙ্খল:
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধান প্রধান কেন্দ্রগুলিতে সব্জির উৎপাদন বৃদ্ধি করতে বৃহদাকারের ক্লাস্টার তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সংগ্রহ, মজুত এবং বিপণন সহ সব্জি সরবরাহ-শৃঙ্খল গড়ে তুলতে সরকার কৃষক – উৎপাদক সংস্থা, সমবায় ও স্টার্টআপ-গুলিকে উৎসাহিত করবে।
চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানি:
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, চিংড়ির উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সরকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। নাবার্ড – এর মাধ্যমে চিংড়ি চাষ, প্রক্রিয়াকরণ ও রপ্তানির জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৪ – ২৫ এ কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের জন্য ১.৫২ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ৮০ কোটিরও বেশি মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার মেয়াদ আরও ৫ বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে।