ওয়েব ডেস্ক ; ৮ সেপ্টেম্বর: আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া সময়সীমার ৫ বছর আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২৫ সালের মধ্যেই দেশকে সম্পূর্ণ যক্ষ্মা মুক্ত করতে চান। সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক এক্ষেত্রে জাতীয় যক্ষ্মা দূরীকরণ কর্মসূচীর আওতায় মাল্টি ড্রাগ রেজিসট্যান্ট যক্ষ্মারোগ নিরাময়ে স্বল্প সময়ে অধিক ফলপ্রসু চিকিৎসা ব্যবস্থা বিপিএএলএম চালুর অনুমোদন করল। যক্ষ্মা প্রতিরোধক নতুন ড্রাগটি হল বেডাকুইলিন এবং লাইনজোলিডের (মক্সিফ্লক্সাসিন-কে যুক্ত করে বা তা ব্যতিরেকে) সংমিশ্রণে তৈরি প্রিট্রোম্যানিড। ইতিপূর্বে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) প্রিটোম্যানিড-এর অনুমোদন এবং লাইসেন্স দিয়েছিল।
ড্রাগ রেজিসট্যান্ট যক্ষ্মারোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে বিপিএএলএম, ৪টি ড্রাগ, বেডাকুইলিন, প্রিটোম্যানিড, লাইনজোলিড এবং মক্সিফ্লক্সাসিন-এর সম্বন্বয়। এটি অনেক বেশি নিরাপদ এবং অধিক কার্যকরী। প্রথাগত মাল্টি ড্রাগ রেজিসট্যান্ট যক্ষ্মা নিরাময়ের ক্ষেত্রে আগে যেখানে ২০ মাস সময় লাগতো এবং অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা যেত সেক্ষেত্রে নতুন বিপিএএলএম ব্যবস্থা ৬ মাসের মধ্যে মাল্টি ড্রাগ রেজিসট্যান্ট যক্ষ্মারোগ নিরাময় করতে পারবে। ভারতে বর্তমানে ৭৫ হাজার ড্রাগ রেজিসট্যান্ট যক্ষ্মারোগী স্বল্প সময়ের মধ্যে এই রোগ থেকে সেরে উঠতে পারবেন। অন্য সুবিধার পাশাপাশি তা ব্যয় সাশ্রয়ীও হবে।
দেশে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে নানাবিধ পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল পাওয়ার পরেই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক স্বাস্থ্য গবেষণা দফতরের সঙ্গে আলোচনাক্রমে নতুন এই যক্ষ্মা নিরাময় ব্যবস্থা চালুতে অনুমোদন দিয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক স্বাস্থ্য গবেষণা দফতরের প্রযুক্তিগত পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রমাণ পেয়েছে
যে নতুন এই মাল্টি ড্রাগ রেজিসট্যান্ট যক্ষ্মা নিরাময় ব্যবস্থায় নিরাপদ ও ব্যয় সাশ্রয়ী।
লক্ষ্যসীমা ধরে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশ থেকে যক্ষ্মা রোগ নির্মূল করতে কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগ বিশেষ কার্যকরী হয়ে উঠবে বলেও মনে করা হচ্ছে। দেশজুড়ে এই বিপিএএলএম ব্যবস্থা চালু করতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের যক্ষ্মারোগ নিরাময় দফতর রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করছে। নতুন এই ব্যবস্থায় স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পেশাদার এবং সুরক্ষিত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতেও রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে আলোচনা চালানো হয়।