ওয়েব ডেস্ক; ৪ জুলাই : বিশ্ব থেকে রাসায়নিক অস্ত্র পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন কার্যকর হয়। এর প্রধান রূপায়ণকারী সংস্থা হল, ১৯৩টি সদস্য দেশকে নিয়ে গঠিত রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংগঠন (ওপিসিডব্লিউ)। রাসায়নিক অস্ত্রের প্রতিরোধের ক্ষেত্রে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৩ সালে ওপিসিডব্লিউ-কে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এই কনভেশনের মূল স্বাক্ষরকারী দেশ হল ভারত। ভারতে এই কনভেনশনের রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছে ন্যাশনাল অথরিটি কেমিক্যাল উইপন্স কনভেনশন (এনএসিডব্লিউসি)। ওপিসিডব্লিউ প্রতি বছর আঞ্চলিক বৈঠকগুলির আয়োজন করে থাকে।
নতুন দিল্লির বাণিজ্য ভবনে ১-৩ জুলাই ন্যাশনাল অথরিটি এশিয়ার ২৩তম আঞ্চলিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে যোগ দিয়েছিলেন ওপিসিডব্লিউ-র আধিকারিক, এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিবৃন্দ, ভারত সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিক প্রমুখ। বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন এশিয়ার ২৪টি দেশের ৩৮ জন প্রতিনিধি। এর মধ্যে রয়েছে – অস্ট্রেলিয়া, ইরাক, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, জর্ডন, কিরঘিস্তান, কুয়েত, লেবানন, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, মালদ্বীপ, ফিলিপিন্স, ওমান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং ভিয়েতনাম।
তিনদিনের এই বৈঠকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রতিনিধিরা নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। সেইসঙ্গে, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন রূপায়ণে এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন।