ওয়েব ডেস্ক ; ৯ ফেব্রুয়ারি : আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রক শহরাঞ্চলের সব যোগ্য প্রাপকের জন্য ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত পাকা বাড়ি তৈরির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা – নগর (পিএমএওয়াই-ইউ)-র সূচনা করে ২০১৫-র ২৫ জুন। ২০১১-র জনগণনার আওতায় বিধিবদ্ধ শহর এবং পরবর্তীতে মেট্রোপলিটন শহরের আওতায় চিহ্নিত অঞ্চল এবং নির্বাচিত ছোট শহরগুলিতেও এই প্রকল্প কার্যকর হয়েছে। এক্ষেত্রে বেছে নেওয়া হয়েছে প্রজ্ঞাপিত বিকাশ অঞ্চল এবং প্রজ্ঞাপিত বিকাশ অঞ্চলের মধ্যে পড়া শিল্পোন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন গ্রামগুলি। কাজ হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির তরফে প্রেরিত পরামর্শ অনুযায়ী। সবকটি মেট্রোপলিটন শহর সহ দেশের ৪,৬১৮টি শহরে রূপায়িত হচ্ছে এই প্রকল্প।

রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলরগুলির সুপারিশ অনুযায়ী এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১১৮.৬৪ লক্ষ বাড়ি তৈরির মঞ্জুরি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১২.৫ লক্ষ বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ২০২৫-এর ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৯০.২৫ লক্ষ বাড়ি তৈরির পর প্রাপকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

এই প্রকল্প চাহিদা ভিত্তিক এবং নির্দিষ্ট কোন লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়নি। প্রাপকদের চিহ্নিত করা হয় রাজ্য কিংবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সুপারিশ অনুযায়ী।

প্রকল্পের নির্দেশিকা অনুযায়ী বাধ্যবাধকতা পূরণ সংক্রান্ত বিষয়গুলি রাজ্যের তরফ থেকে জানানোর পর দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সহায়তা। প্রাপকদের দেওয়া হয় ভর্তুকির সুবিধা। তবে, অনেক সময়ই জমি এবং অনুমোদন সংক্রান্ত বিলম্ব সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক বাকি থাকা কাজ দ্রুত শেষ করতে নিয়মিত ভিত্তিতে রাজ্যগুলির সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে বসে। প্রাথমিক ভাবে এই প্রকল্প রূপায়ণের সময়সীমা ধার্য হয়েছিল ২০২২-এর ৩১ মার্চ। পরে তা বাড়িয়ে ২০২৫-এর ৩১ ডিসেম্বর করা হয়েছে। তবে, ঋণ সংযুক্ত ভর্তুকি প্রকল্পের আওতায় থাকা বিষয়গুলির ক্ষেত্রে নতুন সময়সীমা কার্যকর নয়।

৯ বছরের অভিজ্ঞতার পর, আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রক প্রকল্পটিকে পুনর্মার্জিত করে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করেছে ২০২৪-এর ১ সেপ্টেম্বর থেকে।

লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী টোখান সাহু।