ওয়েব ডেস্ক; ১৯ নভেম্বর: গত ১৮ নভেম্বর দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীন বর্ডার ফাঁড়ি তারালি-১, ১১২ ব্যাটালিয়ন, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের সতর্ক কর্মীরা, সোনার সম্ভাব্য চোরাচালান সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে একটি অভিযান পরিচালনা করে এবং সোনা পাচারের চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে এক মহিলা চোরাকারবারীকে ৪ টি সোনার বিস্কুটসহ ধরেছে। যখন সে এই সোনার বিস্কুটগুলো বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করছিল। জব্দ করা সোনার বিস্কুটের ওজন ৪১৭ গ্রাম এবং আনুমানিক মূল্য ২৬,১৫,৬৩২/- টাকা।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সীমান্ত ফাঁড়ি তারালী-১ এর জওয়ানরা সাইকেলে করে সোনার বিস্কুট বহনকারী এক মহিলার গতিবিধির সুনির্দিষ্ট তথ্য পান। এর পর বিএসএফ জওয়ানরা সন্দেহজনক স্থানে পৌঁছে বিশেষ তদন্ত শুরু করে। জোয়ানদের সতর্কতা দেখে ওই মহিলা চোরাকারবারী সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করলেও জোয়াররা তাকে ধাওয়া করলে সে রাস্তায় পড়ে যায়। সেই সময় কালো টেপ দিয়ে মোড়ানো ০৪ টি সোনার বিস্কুটও পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে জোয়ানরা ওই মহিলাকে ধরে নিয়ে যায় এবং সোনার বিস্কুটগুলো বাজেয়াপ্ত করে।
মহিলা পাচারকারীর পরিচয় ফাতিমা খাতুন (বয়স ৩৩ বছর), স্বামী আমজাদ গাজী, গ্রাম-তারালি (উত্তরপাড়া), জেলা-উত্তর ২৪ পরগনা (পশ্চিমবঙ্গ)।
জিজ্ঞাসাবাদে ফাতেমা খাতুন জানায়, সে এক ভারতীয় এবং কিছুদিন থেকে জীবিকা নির্বাহের জন্য ছোটখাটো চোরাচালানের কাজও করছে। সে আরও প্রকাশ করে যে ১৮ নভেম্বর, সে তারালী গ্রামের ঈদগাহের কাছে বাংলাদেশী নাগরিক মাহিদুল গাজীর কাছ থেকে কালো টেপ দিয়ে মোড়ানো একটি প্যাকেট নেয়, যার মধ্যে ৪ টি সোনার বিস্কুট ছিল, যেগুলো সে তার মুঠোয় লুকিয়ে রেখেছিল। তদুপরি, সে আরও প্রকাশ করে যে মাহিদুল গাজীর নির্দেশ অনুসারে, সে এই সোনার বিস্কুটগুলি ভারতীয় সীমান্তের তারালী গ্রামের মাঠপাড়ার কাছে (সীমান্ত বেড়া লাইনের ওপারে) এক অজ্ঞাত ভারতীয় নাগরিকের কাছে হস্তান্তর করতে যাচ্ছিল। মাহিদুল গাজী তাকে আরও বলেছিল যে, সাদা শার্ট পরা এক অচেনা ভারতীয় লোককে সেখানে পাওয়া যাবে। চালানটি হস্তান্তরের পরে সে ওই অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছ থেকে ১,০০০/- টাকা পেতো। কিন্তু পথে সে চেকপোস্ট পার হওয়ার আগেই বিএসএফ চেকিং টিম তাকে থামিয়ে সোনা জব্দ করে।
গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারী ও জব্দকৃত সোনার বিস্কুট তেঁতুলিয়া কাস্টমস অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ কে আর্য, ডিআইজি, জনসংযোগ আধিকারিক, সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার, বিএসএফ সৈন্যদের এই সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, কুখ্যাত চোরাকারবারিরা গরিব ও নিরীহ মানুষকে অল্প পরিমাণ অর্থের প্রলোভন দিয়ে ফাঁদে ফেলে। কুখ্যাত চোরাচালান চক্র সরাসরি চোরাচালানের মতো অপরাধে জড়িত হয় না, তাই তারা গরিব মানুষকে টার্গেট করে।