ওয়েব ডেস্ক; ২২ এপ্রিল: আইসিপি পেট্রাপোল, ১৪৫ ব্যাটালিয়নের সতর্ক বিএসএফ জওয়ানরা , আইসিপি পেট্রাপোলে একটি চোরাচালান প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে এবং বিপুল পরিমাণে মেক্সিকান তৈরি ধোঁয়া/তাপ ডিটেক্টর উদ্ধার করে (১০০০ টি ছোট আকারের এবং ২০০০টি ভ্রমণকারী বড় ) এই স্মোক/হিট ডিটেক্টরগুলো ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করছে। জব্দকৃত মালামালের মোট আনুমানিক বাজার মূল্য ৯৪,০৪,১৩৪/- টাকা।
তথ্য অনুযায়ী, গত ২১ এপ্রিল আইসিপি পেট্রাপোলের কর্মীরা প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল থেকে চোরাচালানের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পান। খবর পাওয়ার পর, পুরানো ইমিগ্রেশন এলাকায় সৈন্যদের উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয় এবং যাত্রীদের উপর কঠোর নজরদারি রাখা হয়। তিনজন ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রীকে পুরানো ইমিগ্রেশন এলাকায় থামানো হয়। পরে তাদের ব্যাগ চেক করা হয় এবং তল্লাশির সময় তাদের ব্যাগ থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশী তৈরি ধোঁয়া ও হিট ডিটেক্টর উদ্ধার করা হয়। যখন যাত্রীদের নথিপত্র এবং ধোঁয়া/তাপ সনাক্তকারীর রসিদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তারা নথি উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হন এবং কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি। এর পরে সৈন্যরা তিন যাত্রীকে ধরে ফেলে এবং সমস্ত ধোঁয়া/তাপ আবিষ্কারক বাজেয়াপ্ত করে।
গ্রেফতারকৃত যাত্রীরা হলেন (১) সরিফ মন্ডল (২) আবুসাইদ মন্ডল (৩) রিয়াজুল রহমান । সকলেই পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দা।
জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, ২১ এপ্রিল রাত ১১ টার দিকে একজন অজ্ঞাতনামা ভারতীয় পেট্রাপোল বাজারে তার সাথে দেখা করে এবং তাকে কিছু পণ্য বাংলাদেশে নিয়ে যেতে বলে, এ জন্য সে কাজ শেষ হওয়ার পর তাদের প্রত্যেককে ১০০০/- টাকা দিতে বলে। তারপরে – প্রস্তাবিত টাকা। তিনি আরও বলেন, সীমান্ত পার হওয়ার পর বেনাপোলে বাংলাদেশি নাগরিক ফরহাদের কাছে পণ্য হস্তান্তর করতে হয়। কিন্তু পুরাতন ইমিগ্রেশন এলাকায় লাগেজসহ তাকে ধরে ফেলে বিএসএফ।
জব্দকৃত মালামাল ও আটক যাত্রীদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শুল্ক বিভাগ, পেট্রাপোলে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ কে আর্য, ডিআইজি, পাবলিক রিলেশন অফিসার, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত , ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান কার্যক্রম রোধে বিএসএফ-এর অটল সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি চোরাচালান তৎপরতার তীব্র নিন্দা করেন এবং চোরাচালান রোধে সীমান্তে কঠোর নজরদারি বজায় রাখার আশ্বাস দেন।