ওয়েব ডেস্ক; ৩ জুলাই : মণিপাল হাসপাতাল, মুকুন্দপুরে সময়োচিত চিকিৎসা এবং বিশেষজ্ঞদের যত্নে আরও একটি জীবন রক্ষা পেল। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের ৪০ বছর বয়সী গৃহবধূ ও মা, পুরবী সরকার মণ্ডল দীর্ঘদিন ধরেই ডায়াবেটিস, হাইপোথাইরয়েডিজম এবং রক্তাল্পতায় ভুগছিলেন, তবে নিরবেই। সম্প্রতি তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে – ক্লান্তি, বুক ধড়ফড়, শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে শুরু করে। মণিপাল হাসপাতাল, মুকুন্দপুরের বিশিষ্ট ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. পারিজাত দেব চৌধুরীর পর্যালোচনায় জানা যায়, তাঁর হার্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধমনী – লেফট অ্যান্টেরিয়র ডিজেন্ডিং (এলএডি) – সম্পূর্ণভাবে, অর্থাৎ ১০০ শতাংশ ব্লক হয়ে গেছে। এই অবস্থায় সময় মতো সিদ্ধান্ত না নিলে প্রাণহানির ঝুঁকি ছিল প্রবল।

ডা. দেব চৌধুরী এবং তাঁর টিম সময় নষ্ট না করে রোগীকে দ্রুত এবং নিরাপদ চিকিৎসার আওতায় আনেন। দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা, বয়স এবং জটিলতা সত্ত্বেও, তাঁর জন্য একটি বিশেষভাবে তৈরি চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়। আধুনিক পদ্ধতিতে, কোনো রকম ব্যথা বা রক্তপাত ছাড়াই, অ্যানেস্থেসিয়া ছাড়াই ড্রাগ এলিউটিং স্টেন্ট ব্যবহার করে এনজিওপ্লাস্টি করা হয়। সার্জারির পরদিনই রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং এক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন।

ডা. পারিজাত দেব চৌধুরী, ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট, মণিপাল হাসপাতাল, মুকুন্দপুর বলেন, “৪৫ বছরের কম বয়সী মহিলাদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক খুব সাধারণ নয়, তবে অনেক সময় উপসর্গগুলি অস্পষ্ট হয় – যেমন ক্লান্তি, বমিভাব, অস্বস্তি – যেগুলিকে অনেকেই গুরুত্ব দেন না। এই কেসে রোগীর পরিবার সময়মতো সচেতন হয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যা জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে। এটি প্রমাণ করে, শরীরের সংকেতকে গুরুত্ব দিলে এবং দ্রুত পদক্ষেপ নিলে ফলাফল সম্পূর্ণ বদলে যেতে পারে।”

পুরবী সরকার মণ্ডল বলেন, “আমি শুরুতে বুঝতেই পারিনি আমার অবস্থা এতটা গুরুতর। তবে আমার পরিবার আমাকে বোঝায় ও উৎসাহ দেয় যাতে আমি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিই। মণিপাল হাসপাতালে এসে ডা. পারিজাত ম্যাডামের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করানোটা ছিল সেরা সিদ্ধান্ত। আমি এখন ভালো আছি, আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *