ওয়েব ডেস্ক; ১১ জানুয়ারি : সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে প্রতিরক্ষা ও শিক্ষা মন্ত্রকের আয়োজনে ‘বীর গাথা প্রকল্প’ – এর চতুর্থ পর্যায়ে অবিশ্বাস্য সাড়া মিলেছে। এ বছর দেশে প্রায় ২.৩ লক্ষ স্কুলের ১.৭৬ কোটি পড়ুয়া এতে অংশগ্রহণ করেছে।

জাতীয় স্তরে বিজেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ১০০ জনকে। ক্লাস হিসেবে এদের চার ভাগে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বিভাগে রয়েছে ২৫ জন।
২০২৪ – এর ৫ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া বীর গাথা প্রকল্পের চতুর্থ পর্বে নানা বিষয়ে প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। শৌর্য সম্মানপ্রাপক কিংবা স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন অধ্যায় সম্পর্কে লিখতে বিশেষভাবে উৎসাহ দেওয়া হয় প্রতিযোগীদের।

স্থানীয় স্তরে কর্মকাণ্ডের পরিচালনায় ছিল বিভিন্ন বিদ্যালয়। জাতীয় ভিত্তিতে শৌর্য সম্মানপ্রাপকদের সঙ্গে আলাপচারিতার ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের নাম তোলা হয় MyGov পোর্টালে। এরপর, জেলা ও রাজ্যস্তরে মূল্যায়নের পর ৪ হাজার ২২৯ জনকে জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়। সেখান থেকে শীর্ষ বিজেতা হিসেবে ১০০ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এদের যৌথভাবে সংবর্ধিত করবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও শিক্ষা মন্ত্রক। পুরস্কার বাবদ প্রত্যেকে ১০ হাজার টাকা করে পাবে। কর্তব্য পথে সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এরা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবে। রাজ্য ও জেলাস্তরে বিজেতাদেরও সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও জেলা কর্তৃপক্ষ সম্মানিত করবে।

বীর গাথা প্রকল্পের সূচনা হয় ২০২১ সালে, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসেবে। এর লক্ষ্য, দেশের বীর সন্তানদের সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে আরও সচেতন করে তোলা। এই কর্মসূচিকে ঘিরে পড়ুয়াদের আগ্রহ ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলেছে।