ওয়েব ডেস্ক ; ৩০ সেপ্টেম্বর : তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদে ইংলিশ অ্যান্ড ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজেস ইউনিভার্সিটি (ইএফএলইউ)-তে সাফাই মিত্র সুরক্ষা শিবিরের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা তথা উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বিকাশ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ডঃ সুকান্ত মজুমদার। সাফাইকর্মীদের হাতে তিনি এই উপলক্ষে সুরক্ষা কিটও তুলে দেন। ‘স্বচ্ছতাই সেবা, ২০২৪’ অভিযানের একটি অঙ্গ হিসেবে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এদিনের শিবিরে ‘স্বচ্ছতাই সেবা, ২০২৪’ অভিযানে অংশগ্রহণকারী এনএসএস স্বেচ্ছাসেবকদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এইচ লক্ষ্মী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, অধ্যাপক, ছাত্রছাত্রী এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন এদিনের অনুষ্ঠানে। এই অভিযানের আওতায় বিভিন্ন কর্মপ্রচেষ্টার ওপর একটি প্রতিবেদনও এদিন উপস্থাপিত হয়। এছাড়াও প্রদর্শিত হয় স্বল্পদৈর্ঘ্যের একটি ছবি।
এর আগে, ডঃ মজুমদার এদিন জাতীয় শিক্ষানীতি, ২০২০-র বাস্তবায়নের বিষয়টি এক বৈঠকে পর্যালোচনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের জন্য তিনি একটি নতুন রিডিং রুমেরও দ্বারোদ্ঘাটন করেন।
আয়োজিত সমাবেশে ভাষণদান প্রসঙ্গে ডঃ মজুমদার সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন যে ৬০ বছরের প্রাচীন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি দেশের ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে একটি নোডাল ইউনিভার্সিটি রূপে কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয় শিক্ষানীতি, ২০২০-র বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি ব্লু-প্রিন্টও এজন্য তৈরি করা হয়েছে।
ডঃ মজুমদার তাঁর ভাষণে বিদেশ থেকে আগত বিভিন্ন ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষাবিদদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকার কথা তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন। কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের একটি অন্যতম প্রধান উদ্যোগ হিসেবে ভারতের প্রযুক্তিগত তথা অর্থনৈতিক সহযোগিতা (আইটেক)-র আওতায় এই প্রশিক্ষণসূচির আয়োজন করা হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২০টিরও বেশি দেশের অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রী ও অধ্যাপক এই প্রশিক্ষণসূচি গ্রহণ করেছেন বলে শ্রী মজুমদার উল্লেখ করেন।
‘স্বভাব স্বচ্ছতা – সংস্কার স্বচ্ছতা’র বার্তা বিভিন্ন কর্মপ্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রচার করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মপ্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করে ডঃ মজুমদার বলেন যে ‘স্বচ্ছতাই সেবা, ২০২৪’ অভিযানের আওতায় এজন্য অর্থবহ বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ওই সমস্ত কর্মসূচিগুলিতে অংশগ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ছাত্রছাত্রী এবং অন্যান্য কর্মীদের তিনি অভিনন্দিত করেন। ডঃ মজুমদার বলেন যে এই ধরনের কাজের মধ্য দিয়ে সমবেত কর্মপ্রচেষ্টা তথা অংশীদারিত্বের এক দৃষ্টান্ত তাঁরা স্থাপন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর বার্তার পুনরুচ্চারণ করে ডঃ মজুমদার পরিচ্ছন্নতাকে সকলের জীবনের এক বিশেষ অঙ্গ করে তোলার জন্য আহ্বান জানান।
‘মায়ের নামে একটি গাছ’ – এই অভিযানে অংশগ্রহণ করে ডঃ মজুমদার বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারাও রোপণ করেন।