ওয়েব ডেস্ক ; ৯ আগস্ট : সরকার ৪ মে ২০২৪ তারিখে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় এবং প্রতি মেট্রিক টন ৫৫০ মার্কিন ডলার ন্যূনতম রপ্তানি মূল্যে ও ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক সমেত পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়। ৩১ জুলাই ২০২৪ পর্যন্ত মোট ২.৬০ লক্ষ টন পেঁয়াজ রপ্তানি হয়েছে। এছাড়া দামে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভারতের জাতীয় উপভোক্তা সমবায় ফেডারেশন লিমিটেড (ন্যাশনাল কো-অপরেটিভ কনজিউমার্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড-এনসিসিএফ) এবং ভারতের জাতীয় কৃষি সমবায় বিপণন ফেডারেশন লিমিটেড (ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কো-অপরেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন লিমিটেড-নাফেড) এর মাধ্যমে সরকার ৪.৬৮ লক্ষ টন পেঁয়াজ কিনেছে। এর বেশিরভাগটাই কেনা হয়েছে মহারাষ্ট্র থেকে। গত বছর (২০২৩) এর তুলনায় কৃষকরা অনেক ভাল দাম পেয়েছেন। মহারাষ্ট্রের মান্ডিগুলিতে ২০২৪- এর এপ্রিল এবং জুলাই-এর মধ্যে গড়ে প্রতি কুইন্টাল ১২৩০ থেকে ২৫৭৮ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। গত বছর একই সময়ে এই কর বিক্রয় মূল্য ঘোরাফেরা করেছে কুইন্টাল প্রতি ৬৯৩ থেকে ১২০৫ টাকার মধ্যে। মূল্য স্থিতিশীলতা কর্মসূচির আওতায় এবছর সরকার গড়ে ২,৮৩৩ টাকা কুইন্টাল দরে পেঁয়াজ কিনেছে। গত বছর এই ক্রয় মূল্য ছিল ১,৭২৪ টাকা প্রতি কুইন্টাল।
ভারত সার্বিক অর্থে পেঁয়াজ রপ্তানিকারী দেশ (এদেশের পেঁয়াজ রপ্তানি, আমদানির তুলনায় অনেক বেশি) এবং এই খাত থেকে সরকারের আয় হয়। গত ৩ বছরে , অর্থাৎ ২০২১-২২- এ ৩,৩২৬.৯৯ কোটি টাকা, ২০২২-২৩- এ ৪,৫২৫.৯১ কোটি টাকা এবং ২০২৩-২৪- এ ৩,৫১৩.২২ কোটি টাকা এসেছে সরকারের কোষাগারে।
বিগত ৩ বছরে রাজ্যভিত্তিক পেঁয়াজের উৎপাদন এবং পরিবারভিত্তিক বার্ষিক ভোগব্যয় তুলে ধরা হল সংযোজনী-১- এ। এক্ষেত্রে তথ্যাদির উৎস রাশি বিজ্ঞান এবং কর্মসূচি রূপায়ণ মন্ত্রকের ২০২২-২৩- এর পারিবারিক ভোগব্যয় সর্বেক্ষণ।
বিগত ৩ বছরে পেঁয়াজ আমদানি এবং রপ্তানির বিশদ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে সংযোজনী -২- এ।
বিগত ৩ বছরে (২০২১-২২ থেকে ২০২৩-২৪) রাজ্যভিত্তিক পেঁয়াজের উৎপাদন এবং বার্ষিক পারিবারিক ভোগব্যয় ২০২২-২৩। হিসেব লক্ষ মেট্রিক টনে।
সূত্র : বাণিজ্য তথ্যাদি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক
লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বি এল ভার্মা।