ওয়েব ডেস্ক; ২ এপ্রিল : আমাদের দেশে এমন একটি সময় ছিল যেখানে ঘরের মেয়েরা যদি ১০ বছর পূর্ণ করত তাহলে বাড়ি থেকেই তাদের বিয়ের তোড়জোড় করা হতো। এই বাল্যবিবাহ নিয়ে ভারতবর্ষে চলেছে একের পর এক বিদ্রোহ। বাল্যবিবাহ কে শিকড় থেকে তুলে ফেলতে আমাদের দেশের মনীষীরা কাজ করে গেছেন অনবরত।
দা হোয়াইট হর্স ইন্টারটেইনমেন্ট শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কাহিনী অবলম্বনে প্রাচীনকালের এই নীতিতে সিনেমার আকারে তুলে ধরল। আগামী ২৬ শে এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে ‘অরক্ষণীয়া ‘।
সোমবার এই ছবির পোস্টার লঞ্চ এবং এক সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়।
তখনকার সময় এবং এখনকার সময় এই দুই সময়ে নারীদের অধিকার এবং সমাজের চিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছেন এই ছবির পরিচালক ইয়াসমিন ইব্রাহীম এবং সর্বজিত মন্ডল।
দু’ঘণ্টা ১০ মিনিটের এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, সোমা চক্রবর্তী , তমাল রায় চৌধুরী, দেবাশীষ গাঙ্গুলী, রাজু মজুমদার সহ নবাগত অভিনেতা অপলক জশ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন অঞ্চলের চুনোখালিতে শুটিং হয়েছে এই ছবির : জানান পরিচালক ইয়াসমিন ইব্রাহিম।
তিনি আরো বলেন , ” যেই সময়ের কথা এই ছবিতে বলা হয়েছে সেই সময়ে ছোট ছোট মেয়েদের ১০-১২ বছর উত্তীর্ণ হওয়ার সাথে সাথেই বিয়ে দিয়ে দেওয়ার চল ছিল। সেই বিয়ে এক এক সময় দেওয়া হত অতিপ্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের সাথে। ১২ বছর হয়ে গেলে শিশু কন্যাদের বাড়িতে রাখা ছিল তখনকার দিনের ভয়ানক পাপ। শুধু তাই নয় বিয়ের বয়স যদি পেরিয়ে যেত তাহলে তাদের যেমন শুনতে হতো কটুক্তি তেমনি তাদের ওপর চলত বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার। আমরা এই ছবিতে সেই জিনিসগুলোই তুলে ধরতে চেয়েছি, যে তখনকার সমাজের চিত্র এবং এখনকার সমাজের চিত্র কতটা আলাদা। বর্তমান যুগেও মহিলারা অ্যাডভান্স হওয়ার পরেও তাদের ওপর বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন ধেয়ে আসে। “
ছবির অন্য এক পরিচালক সর্বজিৎ মন্ডল বলেন, ” শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কাহিনী অবলম্বনে আমরা এই ছবি তৈরি করেছি তার কারণ বর্তমান সমাজ আমাদের সাহিত্য কাব্যগ্রন্থ প্রায় ভুলে যেতে বসেছে। যদি সেই সমস্ত কাহিনী কাব্যগ্রন্থ এবং ঘটনাগুলি আমরা ছবির আকারে তাদের সামনে নিয়ে আসতে পারি তাহলে তখনকার দিনের সাহিত্যের ওপর তাদের আগ্রহ বাড়বে।”