ওয়েব ডেস্ক; ১৯ সেপ্টেম্বর : পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে, কিছু বাংলাদেশী গরু পাচারকারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিএসএফ জউয়ানদের উপর আক্রমণ করে অওধ থেকে ভারতে প্রবেশ করে গবাদি পশু পাচারের চেষ্টা করে। এই ঘটনাটি দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ৮৮ তম ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি এইচসি পুরের বেড়হীন নদী এলাকায় ঘটেছে, যেখানে বিএসএফ জওয়ানরা আত্মরক্ষায় প্রতিশোধ নেয় এবং দুই বাংলাদেশী গরু পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে এবং ০৬ টি গবাদি পশুকে তাদের কবল থেকে মুক্ত করে।

তথ্যমতে, ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে নদী এলাকায় ৮৮ তম ব্যাটালিনের সীমান্ত চৌকি এইচসি পুরের বোট নাকা টিম দেখতে পায় ১০-১২ জনের একটি দল কিছু গবাদি পশুসহ নদী দিয়ে বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছে। জওয়ানরা তাৎক্ষণিকভাবে পাশের বোট নাকে সতর্ক করে দুর্বৃত্তদের থামানোর জন্য চ্যালেঞ্জ করলেও দুর্বৃত্তরা কোন পাত্তা না দিয়ে জউয়ানদের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে এবং ধারালো দা , লাঠিসোটা দিয়ে জউয়ানদের হামলা করার চেষ্টা করে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জওয়ান দুষ্কৃতীদের দিকে ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়লে চোরাকারবারীরা কর্তব্যরত কর্মীদের উপর আক্রমণ করার চেষ্টা করলে নৌ-নাকা দলের একজন জওয়ান আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায় আবার চোরাকারবারীদের দিকে। এতে চোরাকারবারীরা ভয় পেয়ে গরু নিয়ে বাংলাদেশের দিকে পালানোর চেষ্টা করে। নাকা দল চোরাকারবারিদের ধাওয়া করে ৪ টি গরুসহ ১ বাংলাদেশী পাচারকারীকে আটক করে। অব্যাহত তল্লাশি চলাকালে, ভোরের পর আরেক বাংলাদেশী পাচারকারীকে জলের ঢেউয়ের মধ্যে ধরা পড়ে এবং বিওপি এইচসি পুরে আনা হয়। এই হামলার প্রতিশোধ নিতে গিয়ে কেউ আহত হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

গ্রেফতারকৃত পাচারকারীরা হলেন এমডি সানাউর ও এনামুল, যারা বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার নিতপুর থানার শীততলী সীমান্ত গ্রামের বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদে দুজনেই জানায়, তারা অবৈধভাবে গরু সংগ্রহ করতে ভারতীয় সীমান্তে এসেছিল। এই চোরাচালানের জন্য তিনি 2 টি গবাদি পশুর জন্য ২০,০০০ টাকা পেতেন কিন্তু বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করার সময় বিএসএফ ডিউটি ​​পার্টি তাকে ধরে ফেলে।

উদ্ধারকৃত গবাদি পশুগুলো ই-ট্যাগিংয়ের পর ধ্যান ফাউন্ডেশনে হস্তান্তর করা হবে এবং গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশী গরু পাচারকারীদের পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে বিএসএফ কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ কারণে এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা কোনো অবস্থাতেই আমাদের এলাকা থেকে চোরাচালান হতে দেব না।