ঘূর্ণিঝড় পূর্বাভাস পরিষেবা ও সামুদ্রিক আবহাওয়া পরিষেবা ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণে দেশের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূল জুড়ে ৭টি ঘূর্ণিঝড় পূর্বাভাস কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এরমধ্যে মুম্বাই, কলকাতা ও চেন্নাইয়ে একটি করে অঞ্চল ভিত্তিক ঘূর্ণিঝড় পূর্বাভাস কেন্দ্র । পাশাপাশি আমেদাবাদ, তিরুবনন্তপুরম, বিশাখাপত্তনম এবং ভুবনেশ্বরে একটি করে ঘূর্ণিঝড় পূর্বাভাস কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। 

দেশের সমগ্র উপকূল অঞ্চলের প্রয়োজনীয়তার ওপর নজর রেখে যথাযথভাবে ঘূর্ণিঝড় পূর্বাভাস কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতে আবহাওয়া দপ্তর ঘূর্ণঝড়ের আগাম সতর্কতা প্রদানের ক্ষেত্রে নির্ভুল বার্তা দিয়ে চলেছে। এরফলে সরকার সময়মতো সাধারণ মানুষকে প্রয়োজনে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং জীবন রক্ষার কাজ করতে পারছে। সম্প্রতি আমফান, নার্গিস, তৌকতে, ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের সঠিক পূর্বাভাসের কারণে প্রাণহানির মতো ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। 

এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার দেশের ঘূর্ণিঝড়ের প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় 'জাতীয় ঘূর্ণিঝড় ঝুঁকি প্রশমন' প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যই হল উপকূলীয় রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চেল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব হ্রাস করার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আওতাধীন জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে যথাযথ কাজ করে চলেছে। ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় প্রবণ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চিহ্নিত করে বিভিন্ন স্তরের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আগাম পূর্বাভাস ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাপনার উন্নতিসাধন, ত্রাণ শিবির গড়ে তোলা, দ্রুত বিপদ সঙ্কুল এলাকা থেকে মানুষকে উদ্ধার করার ব্যবস্থাপনা , বন্যা, ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সহ একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। 

লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী শ্রী জীতেন্দ্র সিং।