ডিজিটাল; দেবাঞ্জন দাস; ৩১ আগস্ট: ২০১২ সাল থেকেই তিনি নিজে সমস্ত রকম পুজোর জোগাড় করে সিদ্ধিদাতা গণেশের পুজো করে আসছেন। সংসার সামলে নিজের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সেরে সমান তালে তিনি বাংলা অভিনয় জগতে নিজের স্থান তৈরি করে নিয়েছেন। ৯০ এর দশকে তার প্রথম অভিনীত টিভি সিরিয়াল সীমারেখা। তিনি ত্রমিলা ভট্টাচার্য।
তারপর একের পর এক ধারাবাহিক। নিজেকে যোগ্য অভিনেত্রী হিসেবে তুলে ধরেছেন। বিবাহের পর তিনি সিরিয়াল জগত ছেড়ে বেশ অনেকটাই বিরতি নিয়েছিলেন কিন্তু নিজের জগৎ ছেড়ে বেশি দিন দূরে থাকতে পারেননি। ফিরে এসে আবারও ক্যামেরার সামনে।
ত্রমিলা ভট্টাচার্য সিদ্ধিদাতার পুজো বহুদিন ধরে করে আসছেন একাই। গতানুগতিকভাবে কোন পুরোহিত দিয়ে সেই পুজো করা হতো না। কিন্তু এই বছর তিনি পুরোহিত মারফত নিজের পুজো সারলেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে কোনোভাবেই অভাব ছিল না ভক্তির। আর পুজোর হলে সঙ্গে তো অবশ্যই থাকবে প্রসাদ। নিজের তত্ত্বাবধানে এবং স্বামীর সাথে হাতে হাত মিলিয়ে পুজোর সারার পর নিমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য ছিল কড়াই শুটির কচুরি, আলুরদম, সাদা ভাত, ছোলার ডাল, পটলের দোর্মা, ধোঁকার ডালনা, তার সাথে চাটনি পাপড় এবং মিষ্টিমুখ তো আছেই।
তার জীবনে গণেশ পূজোর মাহাত্ম্য এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে
ত্রমিলা ভট্টাচার্য বলেন, আমার জীবনে গনেশ ঠাকুর বিভিন্ন ভাবে যুক্ত। শুধুমাত্র বাড়ির পুজো নয় যে সমস্ত ক্লাব এবং সংগঠন গণেশ পুজো করেন তারা বেশিরভাগ সময় আমাকে সেই গণেশ পুজোর উদ্বোধনের জন্য ডাকেন।

অভিনয় সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানান শুধুমাত্র ৯০ দশকের নয় পরবর্তীকালেও বহু সিরিয়াল আমি করেছি বর্তমানেও কাজ করছি। মাঝখানে এই জগত থেকে কিছুটা বিরতি নিলেও আবার এই জগত তে আমি ফিরে এসেছি। কিন্তু তার মধ্যেও আমি পড়াশোনা এবং আইটি সেক্টরে কাজও করেছি। আমার মেয়ে হবার পর আবার আমি এই জগতে ফিরেছি। আমি একটু চরিত্রটা বেছে নিয়ে করি। সামনে অনেক প্রজেক্ট রয়েছে এবং আশা করব আরো নতুনত্ব পাবো চরিত্রে ।
যারা একেবারে নতুন এই জগতে তাদের জন্য আপনি কি বলবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নতুন যারা আসছে তাদেরকে আমি বলব তারা যেন একটু ধৈর্য্য ধরে থাকে । বর্তমানে বেশিরভাগ নতুন অভিনেতা অভিনেত্রীদের মধ্যে একটা বিষয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে একটি কাজ করেই তারা ভেবে নেন যে অনেক কিছু পেয়ে গেছি। কিন্তু ভবিষ্যৎ আমরা কেউ দেখিনি। তাই মাটিতেই পা রেখে চলা উচিত। লাইফস্টাইলকে উপরে নিয়ে যাওয়া কোনভাবেই উচিত নয়।