ওয়েব ডেস্ক : পেশায় সরকারি অফিসার। শুধুমাত্র নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতেই পারতেন জলদাপাড়া ওয়াইল্ডলাইফ, কুঞ্জনগর বিট ইনচার্জ সুজিত কুমার বর্মা।
কাজে যোগ দিয়েই সংগ্রহ করেছিলেন চোরাকাঠ এবং চোরাশিকারিদের তালিকা। যোগাযোগ করেছিলেন তাদের পরিবারের সাথেও। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন অর্থকষ্ট হচ্ছে বিপথগামীতার অন্যতম কারণ।
নিজের স্বল্পসামর্থে তাদের আর্থিক সামর্থ্য ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন।
ফলে বন্ধ হয়ে যায় চোরাশিকার এবং কাঠ চুরি। এর রিপোর্ট কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে ও আছে। কিন্তু নেই এই ভালো কাজের স্বীকৃতি। এলাকার সাধারণ মানুষ কিন্তু সুজিতবাবুর আরো ভালো কাজের কথা জানেন :
ফালাকাটা অথবা কুঞ্জনগরে কোথাও বস্ত্রবিতরন অনুষ্ঠানে পদাধিকার বলে আমন্ত্রিত হলে, সুজিতবাবু কটি কাপড় চেয়ে এনে আদিবাসী বস্তিতে দিয়ে আসেন নি:শব্দে।
আজও সুজিতবাবু একাকি ভাবেন,কেন জঙ্গল এলাকার ভাঙ্গা সেতু, ভাঙা রাস্তার মেরামত হয় না। কেন আদিবাসী বস্তিতে সুলভ শৌচালয় তৈরী হয়না সরকারি খরচে !! বড় আক্ষেপ করে নিকট জনের কাছে বলে ফেলেছিলেন, নির্বাচনে তো গদি পাল্টায়, কিন্তু আদিবাসীদের ভাগ্য পাল্টায় না।