পাশ্চাত্যের ফ্লেমিশ শিল্পী হুবার্ট ও জন দীর্ঘকাল ধরে টেম্পারা রঙে ছবি আঁকতেন। ছবি আঁকার পর শেষে বার্নিশের পোঁচ দিতেন। এতে দেখা যেতো কিছুদিনের পর ছবির রঙ চটে গিয়েছে। এছাড়া জলবায়ুর আদ্রতা থেকে দীর্ঘকাল ছবি রক্ষা করা সম্ভব হতো না। এই সমস্ত কারণের জন্য দুই ভায়ের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায়। ১৪০০ খৃঃ নানা তেলের সহিত পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সফল হন। রঙের সহিত তিসির তেল ভালো করে মিশিয়ে তেল রঙের ছবি অঙ্কন করেন। এতে ছবির মধ্যে টোনিং, শেডিং প্রভৃতি নতুন নতুন বিষয় দেখতে পান। তাঁদের এই আবিষ্কারের কথা তাঁরা দীর্ঘদিন গোপন রাখেন। তেলরঙের ছবির তুলনা হয় না। কারণ একটা রঙের উপর আর একটা রঙ করা যায়। এছাড়া ছবির রঙ কতটা ভারী, হাল্কা সেটা বোঝা যায়, ক্যানভাসের উপর রঙ ভারী হয়। ফলে ছবিটা মধ্যে অন্য আভা ফুটে ওঠে। “রিয়ালিস্টিক” ছবি আঁকতে হলে তেল রঙেই অপরিহার্য। তেল রঙের ব্যবহারের ফলে ছবির বিষয় বস্তুর পরিধি যেমন বাড়ে—তেমনি আলো-ছায়ার মধ্যে গিয়ে রঙের সমাবেশকে শিল্পীরা ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।

তথ্য: চিত্র ভূষণ ।