গত ২৭ অক্টোবর দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ৭৮ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি নিমতিতার সতর্ক জওয়ানরা, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, এলাকা থেকে ব্রাউন সুগার পাচারকারীকে ধরে । চোরাকারবারী বি ডি কলেজের কাছে ধরা পড়ে। সে যখন কলেজে ছাত্রদের কাছে ৭ পুরিয়া ব্রাউন সুগার ও কিছু পরিমাণ গাঁজা বিক্রি করতে যাচ্ছিল।
গত কয়েকদিন ধরে সীমান্ত চৌকি নিমতিতার বাজারে কয়েকজন মাদক চোরাকারবারী স্কুলের ছেলেমেয়েদের মাদক সরবরাহ করছে বলে খবর পাচ্ছিল ৭৮তম ব্যাটালিয়ন এর গোয়েন্দা শাখা। এরই ধারাবাহিকতায় ২৭ অক্টোবর ওই চোরাকারবারী সম্পর্কে গোয়েন্দা বিভাগ থেকে জোরালো তথ্য পাওয়া যায় যে বি.ডি. কলেজ নিমতিতার পাশে কামারুজমান ওরফে ফিতু শেখ নামে এক চোরাকারবারি মাদকের পুরিয়া বিক্রি করছে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে কোম্পানি কমান্ডার বিএসএফের একটি ছোট দল নিয়ে উল্লিখিত স্থানে পৌঁছে মাদকসহ পাচারকারীকে আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে ফিতু শেখ জানায়, তার আসল নাম কামারুজমল শেখ। যে ২৪শে অক্টোবর, ২০২১ তারিখে মালদারপারা গ্রামের শামা মালদারের সাথে দেখা করে ২০টি ব্রাউন সুগারের পুরিয়া এবং কিছু গাঁজা নিয়ে তাকে ১০০০টাকা দেয়। যা নিয়ে সে বি . ডি. কলেজে বিক্রি করতে আসে। বিএসএফের হাতে ধরা পড়ার আগে, সে ৩০০ টাকায় তিনটি পুরিয়া বিক্রি করে এবং নিজে ১০টি পুরিয়া খেয়েছে। সে যখন ধরা পড়ে তখন তার কাছে মাত্র ৭টি পুরিয়া অবশিষ্ট ছিল যা সে বিক্রি করত বি ডি কলেজ নিমতিতা এসেছিল।
জিজ্ঞাসাবাদে ফিতু শেখ জানায়, যেবএই এলাকার প্রধান চোরাকারবারী শামা মালদারের ছেলে মাইমুল মালদার, গ্রাম-মালদারপাদা, থানা-সুতি, যে ব্যাপক হারে মাদক নিয়ে আসে এবং বিতরণ করে।
আটক চোরাকারবারীকে আটককৃত মালামালসহ পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শমশেরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জনসংযোগ আধিকারিক, সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার ৭৮ ব্যাটালিয়ন এর কর্মীদের কৃতিত্বে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন যে ডিউটিতে থাকা জওয়ানদের সতর্কতার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।