নারদ মামলা নিয়ে আজ বেশ অনেকটাই স্বস্তি পেলেন ৪ হেভিওয়েট নেতা। কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে আজ নারদ মামলার শুনানি ছিল সেই শুনানির পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চ্যাটার্জি। আজ ৫ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ব্যক্তিগত দু লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন।
তবে আদালত সূত্রে খবর জামিনে থাকছে কিছু বিধি নিষেধ। যেমন কোনভাবেই জামিনে থাকা কালিন এই মামলা অথবা পুরনো যে কোনো মামলা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনো কিছুই বলতে পারবেননা এই চার হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীরা। এছাড়া মামলার কোনো রকম তথ্য কিংবা প্রমাণ কোন কিছুই নষ্ট করতে পারবেন না তারা।
উল্লেখ্য ১৭ ই মে এ রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র এবং নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় কে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। প্রায় অনেকক্ষণ সিবিআই দপ্তর নিজাম প্যালেসে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে নিজাম প্যালেস এর বাইরে। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সমর্থকরা। তারপর নিম্ন আদালতের তরফ তাদের জামিন মঞ্জুর করা হয়। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয় সিবিআই। সেখানেই এই জামিন স্থগিত করা হয়। এবং তারপরেই হাইকোর্টে শুনানি হওয়ার পর আদালতের নির্দেশে গৃহবন্দি করা হয় তাদের।
আজ মামলার শুরুতেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল বলেন শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া যায় কিনা সেই কথাটি আদালত ভাবছে। অনেকদিন ধরেই এই মামলা চলবে তার জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া যেতে পারে। এ বিষয়ে সিবিআইয়ের আইনজীবীর মতামত চাওয়া হয়। সিবিআই আইনজীবী বলেন এই চার নেতা মন্ত্রী খুব প্রভাবশালী তাই জামিন হলে মূল বিষয়টি স্থিত হয়ে যাবে । কোনভাবেই এই মামলাটি স্থিত হবে না এই বলে সিবিআইয়ের আইনজীবীকে আশ্বস্ত করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি।
সে ক্ষেত্রে আদালত সূত্রে খবর তদন্তকারীদের তদন্তের কাজে সাহায্য করতে হবে এই হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীদের এমনই নির্দেশ দিয়েছেন ডিভিশন বেঞ্চ ।
আজ এই জামিনের ফলে গৃহবন্দি দশা কাটতে চলেছে চার নেতা মন্ত্রীদের। আগামী দিনে এই মামলার মোর কোন দিকে যায় সেটাই সময়ের অপেক্ষা।