ডিজিটাল: আজকের ব্যস্ত যুগে প্রবল কাজের চাপ, মানসিক দুশ্চিন্তা কিংবা সোস্যাল মিডিয়া বা ভিডিয়ো গেমসের নেশায় অনেকেরই ঘুমের বারোটা বাজে। কিন্তু লাগাতার কম ঘুম শরীরে বিপদ ডেকে নিয়ে আসে, দেখা দেয় বদ হজম থেকে ওবেসিটির মতো বিভিন্ন রোগ – জানালেন উডল্যান্ডস সুপার স্পেসালিটি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. পুষ্পিতা মণ্ডল।
আজকের তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশের রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মতৎপরতা বাড়ে। মধ্য রাত্রিই তাদের কাছে পড়াশোনা থেকে শুরু করে সোস্যাল মিডিয়ায় চ্যাটিং বা ভিডিও গেমস খেলার উপযুক্ত সময়। বিগত দুই বছরে কোভিডের কারণে গৃহ বন্দী থাকার সময় এই অভ্যাস অনেকের মধ্যেই আরো বেড়েছে। এত কিছু করে ঘুমতে যেতে যেতে অনেকেরই ভোর রাত্রি হয়ে যায়। এর পরে কাজ কর্ম বা পড়াশোনার কারণে এদের মধ্যে অনেকেই পর্যাপ্ত সময় ঘুমতে পারেন না, ফলে সারাদিনই শরীর মনে একটা অবসাদ জমতে থাকে।
একই অবস্থা বড়দের মধ্যেও।
সংসার বা অফিসের কাজের চাপ সামলে সবকিছু সেরে শুতে যেতে বাড়ির অনেক কর্তা গিন্নীর ক্ষেত্রেই ঘড়ির কাঁটা রাতে বারোটার ঘর পেরিয়ে যায়। কিন্তু সংসারে সামাল দিতে এদের অনেককেই ভোরে উঠতে হয় আর প্রতি দিনের এই কম ঘুমের প্রভাব পড়ে তাঁদের সামগ্রিক সাস্থ্যের উপর।
কিন্তু ঘুম জীবনচক্রের একটি অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গ। সারাদিনে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমে শরীরের বিভিন্ন কোষের উপরে যে চাপ পড়ে বা যে ক্ষয় হয় ঘুমের মধ্য দিয়ে শরীর আবার সে ক্ষয় পুরণ করে; স্রান্তি কাটিয়ে পরের দিনের জন্য তৈরি হয়ে ওঠে। একজন সুস্থ পূর্ন বয়স্ক মানুষের নূন্যতম ছয় ঘণ্টা ঘুম অত্যন্ত জরুরী। বাড়ন্ত বাচ্চা, যুবক বা অসুস্থ মানুষের জন্য সময়টা আরো একটু বেশী হওয়া উচিৎ। পর পর লাগাতার রাত জাগলে বদ হজম, ক্লান্তি, ঝিমুনি, অকারণ বিরক্তির মতো বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। আবার সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে কম ঘুমলে ওবেসিটিও বাড়ে। আবার যাদের হাই ব্লাড প্রেসার, ডায়বিটিসের মতো ক্রণিক সমস্যা আছে, তাদের ঘুমের সময় কখনোই কমান উচিৎ নয়।
তাই নিয়মকরে সঠিক সময় ঘুমান। সম্ভব হলে ঘুমের সময় সব আলো নিভিয়ে ঘর অন্ধকার করে রাখুন, মোবাইলও বন্ধ বা সাইলেন্ট মোডে রাখতে চেষ্টা করুন। ঘুম না আসলে বই পড়ুন বা বা মিষ্টি সুরের কোন গান লো ভল্যুমে শুনুন। আর রাত আটটার পর চা কফির মতো পানীয় না খাওয়াই ভালো। গভীর ঘুমে ঘুমান ও পরের দিনের জন্য তরতাজা হয়ে উঠুন।
যোগাযোগঃ 07604075551-55