শুভাবরি ওয়েবডেস্ক,11জুন,দেবাঞ্জন দাস,কলকাতা:
লোকসভা নির্বাচনের অগে থেকে এবং ফল প্রকাশের পরেও ক্রমাগত হিংসা ছড়াচ্ছে । এখন পশ্চিমবঙ্গে প্রধানত বিরোধী দল হিসাবে স্বাধীনতার পর বিজেপি এই প্রথম আত্মপ্রকাশ করলো। এবং তার পেছনে যাকে কাণ্ডারী হিসাবে ধরা হচ্ছে তিনি হলেন মুকুল রায়।
রবিবার দক্ষিন চব্বিশ পরগণার সন্দেশখালিতে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মৃত্যুতে এবং তার দেহ কলকাতায় নিয়ে আসার ঘটনাতে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি।
সেই ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বসিরহাট মহকুমায় বারো ঘন্টা বনধ ডেকেছিল বিজেপি। তার সাথে সারা রাজ্যে ধিক্কার মিছিল বের করা হয়। গতকাল বিকালে কলকাতার বিজেপি সদর দপ্তর থেকে যোগযোগ ভবন পর্যন্ত ধিক্কার মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ লকেট চট্টপাধ্যায়। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি বলেন, ” মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নয় তিনি তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রীতে পরিণত হয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনে মানুষ যে তাঁকে চাননি সেটা তিনি মেনে নিতে পারছেন না। তিনি এখন আতঙ্কে আছেন। তিনি ভাবছেন যে বিজেপি তার সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এতদিন বিজেপি দল কোনো রাজ্যের সরকারকে ফেলে দেয়নি। অতএব মুখ্যমন্ত্রী আতঙ্কে না থেকে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারেন”।
তিনি আরও যোগ করেন “বাংলায় গণতন্ত্র বলে কিছু নেই, লোকসভা নির্বাচনে সারা দেশে একটিও মানুষ চড় খায়নি, সেখানে বাংলায় হিংসা অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে । ”
তার দাবী নির্বাচন বা তার ফলপ্রকাশের পরে বিজেপির অনেক কর্মী নিহত হয়েছেন এবং নিখোঁজও হয়েছেন” । যারা নিখোঁজ আছেন তারা আর বেচে নেই বলে তার দাবী। তার অভিযোগ বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় জেলে ভরে দেওয়া হচ্ছে । এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পদত্যাগের দাবী জানান মুকুল রায়।
সারা রাজ্য থেকে বহু মানুষ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসছেন বলেও তিনি দাবী করেন।
মুখ্যমন্ত্রীকে তার ঘর সামলানোর উপদেশ তিনি দেন এই সাংবাদিক সম্মেলন থেকে।