ওয়েব ডেস্ক; ১৫ অক্টোবর : নিজেদের দুঃখের জীবনে আশীর্বাদ হয়ে ছিল কয়লার খনির কাজ। কিন্তু সেই আশীর্বাদ যে কখন অভিশাপে পরিণত হলো তা সেখানকার শ্রমিকরা নিজেরাও জানতে পারলেন না। বহু যুগ আগের কথা কাজ করতে করতে হঠাৎই তাদের জীবনের নেমে আসলো অভিশাপ। খনিতে যখন শ্রমিকের সংখ্যা বেশ অনেকটাই তখন সেখানে নামল ধস। তারপর শুরু হলো মৃত্যু মিছিল। কয়েকজন নিজেদের ভাগ্যের জোরে বেচে গেলেও অনেককেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে উদ্ধার কাজ করার সময় পাওয়া যায় কয়েকজনের লাশ।

পরবর্তীকালে কাজ শুরু করা গেলেও তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। কাজ করা শ্রমিকরা সেখানে বিভিন্ন ভৌতিক ঘটনার সম্মুখীন হন। অনেকেই বলেন যে যারা সেই ধসে মারা গিয়েছেন বা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন তাদের অবয়ব কিন্তু বারবার সেই কয়লার খনির মধ্যে কাজ করার সময় দেখা গেছে । এছাড়া সেই বিষয়ে তদন্ত করতে আসা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিকরাও কিন্তু নিখোঁজ হয়েছেন। এমনই এক প্রেক্ষাপটে নিজেদের এই বছরের কালীপুজোর থিমকে তৈরি করেছে দক্ষিণ কলকাতার কুঁদঘাট অঞ্চলের যুব সম্মিলনী ক্লাব।

এই বছর তাদের ৫৩ তম বর্ষ। ধ্বংসস্তূপ কয়লার খনি এবং তার ভেতর বিভিন্ন ভৌতিক ঘটনা এই সবকিছু নিয়েই কিন্তু এই বছরে তাদের থিম। বিগত বছরগুলিতে তারা বিভিন্ন ভৌতিক ঘটনার এগুলিকে নিয়ে নিজেদের মণ্ডপ সাজিয়ে আসছেন। তাতে বেশ ভালো পরিমান দর্শক টেনেছেন তারা। ক্লাব কর্তৃপক্ষের কথায় এই বছরও ঠিক একই রকম ভাবে তারা দর্শকদের আনন্দ দিতে পারবেন।

মন্ডপ সজ্জায় এবং সমস্ত পরিকল্পনা ভাবনায় রয়েছেন বাবাই সাঁপুই, সুবল সমাদ্দার, এবং ভোলা পাল।

পূজা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শুভঙ্কর বিশ্বাস এই বছরে কালীপুজোকে ঘিরে বেশ ভাল রকম ভাবে নিজের উৎসাহ প্রকাশ করেছেন। দর্শকদের যে মন ছুঁয়ে যাবে এই মন্ডপ তা নিয়ে তারা আত্মবিশ্বাসী।