ওয়েব ডেস্ক ; ১১ মার্চ : নতুন দিল্লির ভারত মন্ডপমে ৪ মার্চ আহার-২০২৫-এর উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের প্রতিটি খাবার টেবিলে যাতে অন্তত একটি ভারতের খাদ্যদ্রব্য থাকে তা সুনিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের প্রসার ঘটিয়ে ভারতীয় স্বাদ, গুণগত মান এবং উদ্ভাবনকে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া সুনিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য বলে তিনি জানান।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, আহার থেকে ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডিয়া ২০২৫-এর যাত্রা শুরুর মধ্য দিয়েই খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রক সেপ্টেম্বর ২৫ থেকে ২৮, ২০২৫-এ বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্য শিখর সম্মেলনের আয়োজন করবে।

আহার-২০২৫-এর গতিধারাকে বজায় রাখতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রক এবং এনআইএফটিইএম-কুন্ডলী একগুচ্ছ কারিগরি অনুষ্ঠান পর্বের আয়োজন করে। এতে সরকারী মন্ত্রক, শিক্ষা ক্ষেত্র, স্টার্টআপ এবং শিল্প ক্ষেত্রের প্রথম সারির নেতৃবর্গ ভারতের ভবিষ্যৎ খাদ্য পরিমণ্ডল রূপরেখা চূড়ান্ত করতে আলেচনাচক্রে মিলিত হন। দু-দিন ধরে আলোচনায় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণকে ঘিরে উদ্ভাবন, তার মোড়ক, নিরাপত্তা, নিয়ন্ত্রক পরিকাঠামো প্রভৃতি বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা মত বিনিময় করেন। খাদ্য সুরক্ষা, গুণগতমান সুনিশ্চিত করা নিয়ে বিশেষ পর্বের আলোচনায় যোগ দেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রকের সচিব ডঃ সুব্রত গুপ্ত। তিনি বলেন, রাসায়নিক দূষণের বিপদ এবং শরীরের ওপর তার ক্ষতিকারক প্রভাব নিয়ে কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি। । তিনি আরও বলেন, কৃষি ক্ষেত্রে রাসায়নিকের দায়িত্বপূর্ণ ও সুস্থায়ী ব্যবহারে কৃষকদের শিক্ষিত করে তোলা দরকার। কারণ, এর সাথে খাদ্য নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত, আমাদের শরীরকে যা সরাসরি প্রভাবিত করে। এই লক্ষ্যে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রক উন্নত আধুনিক প্রযুক্তির দ্রুততার সঙ্গে ব্যবহার বাড়াচ্ছে।

FSSAI, কোডেক্স এবং প্রথম সারির খাদ্য সংস্থাগুলির বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন পর্বে আলোচনায় যোগ দেন। তাঁরা খাদ্যের গুণগতমান দ্রুত পরীক্ষার স্বার্থে সহায়ক সরঞ্জামের ব্যবহার বাড়ানোর কথা বলেন। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র এবং দেশের অভ্যন্তরে খাদ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত নিয়মাবলীর যে ফাঁক রয়েছে, তা দূর করতে বলেন।

আইআইটি গুয়াহাটি, FSSAI, কোকা-কোলা ইন্ডিয়া প্রভৃতি সংস্থা থেকে প্রতিনিধিরা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। আহার-২০২৫-এর কার্যকলাপকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রক এবং এনআইএফটিইএম-কে যৌথ ভাবে উদ্ভাবন প্রসার, খাদ্যের মৌলিক উপাদান সুনিশ্চিত করা, সেই সঙ্গে নিরাপদ এবং সুস্থায়ী খাদ্য ব্যবস্থায় ভারতকে বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে শক্তিশালী জায়গা করতে তাঁদের দায়বদ্ধতার কথা জানিয়েছেন।