ওয়েব ডেস্ক ; ১৩ এপ্রিল : একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, কলকাতার বাতাসে ভাসমান অতিক্ষুদ্র ধূলিকণার ‘বিষক্রিয়ার মান’ বৃদ্ধি পেয়েছে।

পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম ২.৫ অর্থাৎ ২.৫ মাইক্রো মিটার বা তার চেয়েও ছোট ব্যাসার্ধের ধূলিকণা মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষের বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এই ধরনের ধূলিকণার কারণে হৃদরোগ সহ বিভিন্ন ধরনের শ্বাসকষ্টের শিকার হচ্ছেন।

বায়ু দূষণের মোকাবিলায় ভারত সরকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০১৯ সালে চালু করা হয়েছে ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার কর্মসূচি (এনসিএপি)। এর মাধ্যমে ২০২৬ সালের মধ্যে ক্ষুদ্র ধূলিকণার পরিমাণ ৪০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীন সংস্থা বোস ইন্সটিটিউট-এর পক্ষ থেকে এই অতিক্ষুদ্র ধূলিকণার দূষণ নিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। অধ্যাপক অভিজিৎ চ্যাটার্জি এবং তাঁর অধীনে শিক্ষারত দুই প্রাক্তন পিএইচডি পড়ুয়া ডঃ অভিনন্দন ঘোষ ও ডঃ মনামি দত্ত এক সমীক্ষায় বায়ু দূষণের মাত্রা চিহ্নিত করেছেন।

তাঁদের সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, পিএম ২.৫ হঠাৎ-ই বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তা প্রায় 130 µg m-3 -তে পৌঁছে গিয়েছে। তাঁরা দেখেছেন, দূষণমুক্ত কর্মসূচির মাধ্যমে দূষণের মাত্রা কমানো সম্ভব হয়েছে, রাস্তার ধূলিকণা, বাড়ি ভেঙে ফেলা বা নির্মাণের ফলে সৃষ্ট ধূলিকণা, গাড়ির ধোঁয়া নির্গমন, শিল্প দূষণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে দূষণ কমানো অনেকটাই সম্ভব হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *