ওয়েব ডেস্ক; ৬ এপ্রিলঃ জাতীয় কুষ্ঠ নির্মূল কর্মসূচি হল জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের আওতায় কেন্দ্রীয় অর্থ সহায়তায় পরিচালিত একটি প্রকল্প। রাজ্য/ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি তাদের সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি রূপায়ণ প্রকল্প অনুযায়ী প্রস্তাব পাঠায়, সেই অনুসারে তাদের চাহিদা ও সক্ষমতা মাফিক অর্থ বরাদ্দ করা হয়। ভারত জাতীয় স্তরে কুষ্ঠ রোগ নির্মূলের সাফল্য অর্জন করেছে। ২০০৫ সালের হিসাব অনুযায়ী এখানে প্রাদুর্ভাবের হার প্রতি ১০ হাজারে একেরও কম। ২০২৭ সালের মধ্যে কুষ্ঠ রোগের সংক্রমণ শূন্যে নিয়ে আসার লক্ষ্যে ভারত সরকার ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি কুষ্ঠ রোগের জাতীয় কৌশলগত পরিকল্পনা ও পথনির্দেশিকা জারি করেছে। এর আওতায় যে সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা হল:
কুষ্ঠ রোগের জাতীয় কৌশলগত পরিকল্পনা ও পথনির্দেশিকা ২০২৩-২৭ এবং জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য জাতীয় নির্দেশিকা ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়েছে।
শহর ও গ্রামাঞ্চলে কুষ্ঠ রোগ সনাক্তকরণ অভিযান চলছে। এর আওতায় আশাকর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত ভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে কুষ্ঠ রোগ সনাক্তকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
কুষ্ঠ রোগ সনাক্তকরণ অভিযানকে রাষ্ট্রীয় বাল স্বাস্থ্য কার্যক্রম এবং রাষ্ট্রীয় কিশোর স্বাস্থ্য কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
৩০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে এই রোগের অনুসন্ধানের জন্য আয়ুষ্মান ভারত যোজনার আওতায় সার্বিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার অধীনে একে যুক্ত করা হয়েছে।
কুষ্ঠ রোগীর সঙ্গে কাদের যোগাযোগ হয়েছে তা চিহ্নিত করা হয় এবং সংক্রমণ শৃঙ্খল ভাঙতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
প্রতিবন্ধকতা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা সংক্রান্ত পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন পরিষেবা দেওয়া হয়।
সব জেলা হাসপাতাল / মেডিকেল কলেজ / কেন্দ্রীয় কুষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে পুনর্গঠনমূলক অস্ত্রোপচার করা হয় এবং প্রত্যেক রোগীকে এজন্য ১২ হাজার টাকা কল্যাণ ভাতা দেওয়া হয়।
২০২৩ সালে দেশের মোট ১৭টি জেলায় ৩১,০৮৮টি কুষ্ঠ রোগের ঘটনার সন্ধান পাওয়া গেছে।
রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল এই তথ্য জানিয়েছেন।