ওয়েব ডেস্ক; ৮ এপ্রিল : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটি রেল মন্ত্রকের চারটি প্রকল্পকে মঞ্জুরী দিয়েছে যাতে প্রায় ১৮,৬৫৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে।

মহারাষ্ট্র, ওড়িশা এবং ছত্তিশগড়ের ১৫টি জেলাকে পরিষেবা প্রদানকারী এই চারটি প্রকল্প ভারতীয় রেলের বর্তমান নেটওয়ার্ককে প্রায় ১,২৪৭ কিলোমিটার বাড়িয়ে দেবে।

এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে – (১) সম্বলপুর-জরাপদা তৃতীয় এবং চতুর্থ লাইন, (২) ঝারসুগুদা-শাসন তৃতীয় এবং চতুর্থ লাইন, (৩) খরসিয়া-নয়া রায়পুর-পরমলকসা পঞ্চম এবং ষষ্ঠ লাইন এবং (৪) গোন্ডিয়া-বলহারশাহ লাইন ডাবলিং।

এই বর্ধিত লাইনগুলির ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে যাতায়াতে গতি বাড়বে। এর ফলে ভারতীয় রেলের উন্নতমানের দক্ষতা এবং পরিষেবা প্রদানের প্রতি জনগণের ভরসা আরও বাড়বে। এই মাল্টি-ট্র্যাকিং প্রস্তাব রেল পরিচালনাকে সহজতর করে তুলবে এবং ভিড় কমাবে। ফলে, ভারতীয় রেলের ব্যস্ততম অংশগুলির প্রয়োজনীয় বুনিয়াদি পরিকাঠামোর উন্নতি হবে। এই প্রকল্পগুলি প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নতুন ভারতের দৃষ্টিকোণের অনুরূপ। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের ফলে জনগণের আত্মনির্ভরতা বৃদ্ধি পাবে। ফলে ঐ এলাকায় কর্মসংস্থান ও স্বনির্ভরতার সুযোগ বাড়বে।

প্রকল্পগুলি মাল্টি-মোডাল কানেক্টিভিটির জন্য পিএম গতি শক্তি জাতীয় মাস্টার প্ল্যানেরই পরিণাম। যা সংহত পরিকল্পনার মাধ্যমে জনগণের যাতায়াত ও অবাধ পণ্য পরিবহণ পরিষেবাকে গতি প্রদান করবে।

এই প্রকল্পগুলির সঙ্গে ১৯টি নতুন স্টেশনও তৈরি করা হবে। এর ফলে গঢ়চিরৌলি এবং রাজনন্দগাঁও-এর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম হবে। মাল্টি-ট্র্যাকিং প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৩,৩৫০টি গ্রাম এবং প্রায় ৪৭.২৫ লক্ষ মানুষের সুবিধা হবে।

খরসিয়া-নয়া রায়পুর-পরমলকসা রেলপথের মাধ্যমে গলৌদা বাজারের মতো নতুন কিছু এলাকার প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। ফলে এই এলাকার সিমেন্ট উৎপাদন সহ নতুন নতুন শিল্পোদ্যোগ স্থাপনের সম্ভাবনা বাড়বে।

এর মাধ্যমে বিভিন্ন কৃষিপণ্য, সার, কয়লা, লৌহ আকর, ইস্পাত, সিমেন্ট, চুনাপাথরের মতো পণ্য পরিবহণের পথ সুগম হবে। এই ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে প্রতি বছর প্রায় ৮৮.৭৭ মিলিয়ন টন অতিরিক্ত পণ্য পরিবাহিত হবে। পরিবেশ-বান্ধব এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী হওয়ার ফলে রেল জলবায়ু পরিবর্তন রোধ এবং দেশের সম্পদ সাশ্রয়, তেল আমদানি (৯৫ কোটি লিটার) হ্রাস করতে ও কার্বন নিঃসরণ (৪৭৭ কোটি কিলোগ্রাম) হ্রাস করতে সাহায্য করবে, যা ১৯ কোটি বৃক্ষরোপণের সমতুল্য।