ওয়েব ডেস্ক; ৪ ফেব্রুয়ারি : ইউনাইটেড নেশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি) এবং তার প্যারিস চুক্তি অর্থ বছর ভিত্তিক প্রতিবেদনে মান্যতা দেয় না। ইউএনএফসিসিসি-র অধীনে প্যারিস চুক্তি মোতাবেক ভারত ২০২২-এ জমা দিয়েছিল চূড়ান্ত ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন্স (এনডিসি) ।
২০২৪-এর ৩০ ডিসেম্বর ইউএনএফসিসিসি-তে জমা দেওয়া ভারতের চতুর্থ দ্বিবার্ষিক আপডেট রিপোর্ট অনুযায়ী ২০০৫ এবং ২০২০-র মধ্যে ভারতের জিডিপি-র নিঃসরণ কমেছে ৩৬/- যেখানে, ২০৩০-এর মধ্যে এনডিসি-র লক্ষ্য নির্দিষ্ট আছে ৪৫/- । অজৈব জ্বালানী ভিত্তিক উৎসের অংশ সংক্রান্ত এনডিসি-র অধীনে লক্ষ্যপূরণে হিসাব বিষয়ে ভারতের মোট স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার অংশ ৪৭.১০/- ।
২০৩০-এর মধ্যে ৫০/- লক্ষ্য পূরণের তুলনায়। ভিত্তিবর্ষ ২০০৫-এর তুলনায় ভারত অতিরিক্ত ২.২৯ বিলিয়ন টন কার্বন নিঃসরণ বন্ধ করতে পেরেছে অতিরিক্ত বনসৃজন এবং বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে, যেখানে লক্ষ্য ছিল ২০৩০-এর মধ্যে ২.৫ থেকে ৩.০ বিলিয়ন টন কমানো।
ভারত সরকার ২০২২-এ এনার্জি কনজারভেশন অ্যাক্ট ২০০১-এর সংশোধন করে দেশের কার্বন বাজার তৈরি্র সুবিধার্থে। এরপর, এই আইনের অধীনে সরকার ২০২৩-এর ২৮ জুন কার্বন ক্রেডিট ট্রেডিং স্কিম (সিসিটিএস)-এর সূচনা করে এবং ২০২৩-এর ১৯ ডিসেম্বর সেই বিজ্ঞপ্তিরও সংশোধন করা হয়।
বর্তমানে নেপাল, ভূটান, বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের সঙ্গে সীমান্তপারের আন্তঃসংযোগ আছে। ভূটানের সঙ্গে জলবিদ্যুৎ ক্ষেত্রের সহযোগিতা নিয়ে ২০০৬-এর ২৮ জুলাই একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারত ও নেপালের মধ্যে ০৪-০১-২০২৪-এ একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যারফলে আগামী ১০ বছরে নেপাল থেকে ভারতে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রফতানি হবে।
লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং।