ওয়েব ডেস্ক; কলকাতা, ৩০শে আগস্ট : স্বামী বিবেকানন্দের জীবন দর্শন ও তাঁর গভীর আধ্যাত্মিকতাবোধ আমাদের প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরিত করে। তাঁর সমস্ত কালজয়ী চিন্তাধারা কে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পরিচালক অভিজিৎ দাসগুপ্ত, অম্বুজা নেওটিয়ার চেয়ারম্যান হর্ষবর্ধন নেওটিয়ার সম্পাদনায়, নিয়ে আসতে চলেছেন এক নতুন সিরিজ, ‘নরেন’। এই সিরিজের প্রধান উদ্দেশ্য হলো স্বামীজীর বাণী ও তৎকালীন ইতিহাসের মিলিত নির্যাস কে আজকের যুব সমাজের কাছে সহজলভ্য ও সহজ বোধ্য করে তোলা।

স্বামীজীর যুক্তিবাদ ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি, পরমসহিষ্ণুতাবোধ, ও বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের আদর্শ আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। পরিচালক অভিজিৎ দাসগুপ্ত দীর্ঘদিন ধরে বিবিধ তথ্যের সংগ্রাহক এবং গবেষণা ও সম্প্রচারের কাজে দক্ষ। এমনকী গল্প বলিয়ে হিসেবেও তিনি বিশেষ ভাবে পারদর্শী। এই দীর্ঘ অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়ে স্বামী বিবেকানন্দের মতাদর্শ-কে নব্য ভারতের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা তার এই নতুন সিরিজ ‘নরেন’।

পরিচালক অভিজিৎ দাসগুপ্ত-র মতে, “প্রযুক্তি এবং আধ্যাত্মিকতার মেলবন্ধনে তৈরী এই সিরিজ আজকের যুবকদের কাছে স্বামী বিবেকানন্দের কালজয়ী জ্ঞানকে নতুন ভাবে তুলে ধরবে।” তিনি বলেন, “একজন কাল্পনিক বিজ্ঞানের অধ্যাপক ও তার ছাত্রদের মধ্যে একটি ইন্টারেক্টিভ প্রশ্ন-উত্তর বিন্যাসের মাধ্যমে আমরা স্বামীজির মূল্যবোধগুলি কে একটি আকর্ষণীয় মোড়কে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।”

‘নরেন’ সিরিজ লঞ্চ অনুষ্ঠানে, অম্বুজা নেওটিয়া চেয়ারম্যান হর্ষবর্ধন নেওটিয়া এই উদ্যোগের অংশ হতে পারার জন্যে তার কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করে বলেন, “এই আধুনিক ও অদ্বিতীয় প্রকল্পের অংশ হতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। আজকের তরুণদের কাছে স্বামীজীর ঐক্য ও আত্মবিশ্বাসের যে বাণী তা সহজ ও অভিনব উপায়-এ প্রকাশ করার জন্য এটি এক অনন্য প্রচেষ্টা। নরেন-এর মত একটি মৌলিক সৃষ্টির পাশে আমরা সব সময় আছি। কারণ অম্বুজা নেওটিয়াতে আমরা বিশ্যাস করি ভারতবর্ষের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ, আমাদের সংস্কৃতি ও শিক্ষার ঐতিহ্য কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমাদের একান্ত কর্তব্য।”

এই অনুষ্ঠানে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ, কালিকট রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রম-এর সেক্রেটারি স্বামী নরসিংহানন্দ সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন । স্বামী সুবীরানন্দজি বলেন, “‘নরেন’ সিরিজ-এর মাধ্যমে, অভিজিৎ দাশগুপ্ত স্বামী বিবেকানন্দের অসামান্য উত্তরাধিকারকে এমনভাবে জীবন্ত করে তুলেছেন যা হৃদয় ও মনকে মোহিত করে, নিশ্চিত করবে যে স্বামীজীর অসীম জ্ঞানভান্ডার পরবর্তী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলবে”।

স্বামী নরসিংহানন্দজি বলেন, “’নরেন’ সিরিজটির হাত ধরে এক নতুন আঙ্গিকে বয়ে যাক মানুষের জীবন। তরুণ প্রজন্মের অপার কৌতূহল কে ছুঁয়ে যাক স্বামী বিবেকানন্দের কালজয়ী জ্ঞান, এই সিরিজ সেতুর মাধ্যমে । পিপুল গাছের নীচে উন্মোচিত স্বামীজির জীবনবোধ একজন কাল্পনিক বিজ্ঞানী ও নির্ভীক অধ্যাপকের চরিত্রের মাধ্যমে যুক্ত করুক মাইক্রোকজমের সাথে ম্যাক্রোকজমকে । এটি যেন এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কর্ণধার-দের জন্য উজ্জ্বল এক দৃষ্টান্ত।”