ওয়েব ডেস্ক ; ১৪ মার্চ : দেশের ৪,৮০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ২০১৭ সালে সরকার ভারতমালা পরিযোজনার অনুমোদন দেয়। ২৮.০২.২০২৫ পর্যন্ত এর আওতায় মোট ২৬,৪২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৯,৮২৬ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গে যেসব প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তার মোট দৈর্ঘ্য ৩৮৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৩২৪ কিলোমিটারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
ভারতমালা পরিযোজনার লক্ষ্য হল দেশের সংযোগ বৃদ্ধি এবং লজিস্টিক্স সংক্রান্ত দক্ষতার উন্নয়ন। জনজাতি অধ্যুষিত, উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং বাম উগ্রপন্থা প্রভাবিত জেলাগুলির সংযোগ সাধনের ওপর এতে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি নিরাপদ পরিবহণ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে মহাসড়কগুলিতে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমানো এর অন্যতম উদ্দেশ্য। উচ্চগতিসম্পন্ন করিডর গড়ে তোলার ফলে প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলির মধ্যে যাতায়াতের সময়ও কমবে। বিভিন্ন শিল্প হাব, বন্দর ও বিমান বন্দরের সঙ্গেও এইসব করিডরের মাধ্যমে উচ্চগতিসম্পন্ন সংযোগ গড়ে তোলা হচ্ছে।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ৬,৬৬৯ কিলোমিটার উচ্চগতিসম্পন্ন করিডর নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে ৪,৬১০ কিলোমিটারের নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান রোডস কংগ্রেসের নির্ধারিত মান অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। রাস্তার নকশা তৈরি, নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে সুরক্ষাবিধি মেনে চলা হচ্ছে। জাতীয় মহাসড়কগুলির নিয়মিত সুরক্ষা অডিট করার জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
মহাসড়ক নির্মাণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং ড্রোন নির্ভর প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন জয়রাম গড়করি এই তথ্য জানিয়েছেন।