ওয়েব ডেস্ক; ২৪ মে: কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিকশিত ভারত ২০৪৭ – এর লক্ষ্য পূরণে প্রতিভা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সমন্বিত প্রয়াসের আহ্বান জানিয়েছেন। শিল্প নেতৃত্ব ও শিক্ষাবিদদের নিয়ে একটি গোলটেবিল বৈঠকে তিনি একথা জানান। ভারতে উৎপাদন ক্ষেত্রের বিকাশে ভবিষ্যতের জন্য কর্মী প্রস্তুত করতে শিল্প ও শিক্ষাবিদদের এগিয়ে আসতে বলেন তিনি।
নিউ এজ মেকার্স ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি (এনএএমটিইসিএইচ), মেট ইনোভেশন স্কুল উদীয়মান নতুন ক্ষেত্র হিসেবে উৎপাদন, ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তি (এমইটি)-র যে উদ্যোগ নিয়েছে তার প্রশংসা করেন বৈষ্ণব।এই উদ্যোগের লক্ষ্য হ’ল – শিল্প ৪.০ এবং তার অধিক চাহিদা পূরণ করা। বিশেষ করে, উদীয়মান প্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রতিভার ঘাটতি পূরণ করা এবং ভারতে রূপান্তরমূলক পরিবর্তন নিয়ে আসা।
ভারত সরকার বিকশিত ভারত @২০৪৭ – এর দৃষ্টিভঙ্গীর উপর বিশেষ জোর দিয়েছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়া, স্কিল ইন্ডিয়া, ন্যাশনাল ম্যানুফ্যাকচারিং মিশন ও ক্ষেত্র নির্দিষ্ট প্রোডাকশন – লিঙ্ক ইনসেনটিভ (পিএলআই) প্রকল্পগুলি উৎপাদন এবং উদীয়মান প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ভারতকে বিশ্বের মধ্যে নেতৃত্বের স্থানে পৌঁছে দেবে। এর জন্য ইন্ডিয়া সেমিকন্ডাক্টর মিশন, এআই মিশন, ন্যাশনাল রোবোটিক্স স্ট্র্যাটিজি, মোবিলিটি ম্যানুফ্যাকচারিং মিশন এবং ন্যাশনাল হাইড্রোজেন মিশন সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ভারতের শিক্ষা নীতি, ২০২০-তে সামগ্রিক উন্নয়ন ও মূল ধারার বিদ্যালয় শিক্ষায় বৃত্তিমূলক এবং ডিজিটাল শিক্ষার উপরও জোর দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এমআইটি দলকে স্বাগত জানিয়ে তাদেরকে বিশ্বের সেরা প্রতিষ্ঠানগুলির অন্যতম বলে উল্লেখ করেন। তিনি শিল্প – শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতার একটি অন্যতম মডেল হিসেবে গতিশক্তি প্ল্যাটফর্মের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে ভদোদরার গতিশক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এনএএমটিইসিএইচ – এর মধ্যে একটি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়। পাশাপাশি, এই প্রতিষ্ঠান সিমেন্স ইন্ডিয়া সহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত শীর্ষস্থানীয় শিল্প নেতৃত্ব এবং শিক্ষাবিদরা প্রধানমন্ত্রীর বিকশিত ভারত ২০৪৭ – এর লক্ষ্য পূরণের জন্য একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন।