নতুন করে যক্ষ্মা রোগের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ ভারতী পাওয়ার উদ্বোধনী ভাষণ দিয়েছেন ।
ভাষণে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জানান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৬টি অঞ্চলের যক্ষ্মা রোগের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। তিনি বলেন, বহু শতাব্দী ধরে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হ’ল এইচআইভি/এইডস্ এবং ম্যালেরিয়া। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেখা গেছে আর্থিক অনটনের কারণে এবং কর্মহীনতার জন্য যক্ষ্মা রোগে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যক্ষ্মা রোগের ওপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শ্রীমতী পাওয়ার আরও জানান, গত বছর সমগ্র বিশ্ব কোভিড মহামারীর উত্থান প্রত্যক্ষ করেছে। এই মহামারীর জেরে মানুষের জীবন, অর্থনীতি এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছে। মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে এই মহামারী উত্থানের ফলে যক্ষ্মা রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অগ্রগতি খানিকটা থমকে গেছে। তিনি জানান, এই মহামারী সাধারণ মানুষকে অনেক শিক্ষা দিয়ে গেছে। এই শিক্ষা থেকে যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। শ্রীমতী পাওয়ার আরও জানান, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশ বিগত বছরে এই রোগ নির্মূলে আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে। পাশাপাশি, এই যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত রোগীদের অনুসন্ধান, চিকিৎসা, প্রতিরোধমূল ব্যবস্থাপনা এমনকি মানসিক-সামাজিক সহায়তা প্রদানেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে ২০১৭ সালের মার্চ মাসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সদস্য দেশগুলির ‘কার্যকরি পদক্ষেপের আহ্বান’ শীর্ষক কৌশল বাস্তবায়নের উপর জোর দেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলে যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাপনা, চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতি এবং অপুষ্টি মোকাবিলা সহ সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি। এদিনের বৈঠকে হু-র মহাসচিব ডাঃ ট্রেডস আধানাম ঘ্রেব্রেসাস সহ অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।