শুভাবরি ওয়েব ডেস্ক,, ২৯ অক্টোবর, কলকাতা:
রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পর করোনা পরিস্থিতি যখন উদ্বেগজনক হয়েছিল তখনই রাজ্য সরকার লোকাল ট্রেন চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তারপর ধাপে ধাপে জরুরী পরিষেবা এর সাথে যুক্ত যাত্রীদের জন্য স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সেই অনুযায়ী রাজ্যে স্টাফ স্পেশাল লোকাল ট্রেন চালু ছিল।

পুজোর আগে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও দুর্গাপুজোর পর থেকেই পরিস্থিতি কিছুটা উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। তার মধ্যেই রাজ্য সরকার আগামী নভেম্বর থেকে ৫০% যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি দিল। রাজ্যে চলতি বিধি-নিষেধের সময়সীমা আপাতত ৩০ শে অক্টোবর পর্যন্ত ছিল যা বাড়িয়ে ৩০ শে নভেম্বর পর্যন্ত করল রাজ্য সরকার। সেই অনুযায়ী নবান্নের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।

কি বলা রয়েছে নির্দেশিকায়:

√আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সমস্ত স্কুল, কলেজ , ইউনিভার্সিটি খোলা হবে।

✓৫০% যাত্রী নিয়ে রাজ্যে চালু হবে লোকাল ট্রেন।

সরকারি অফিস যেগুলো non-essential এবং নন এমার্জেন্সি সার্ভিস রয়েছে সেগুলোতে ৫০% কর্মী নিয়ে চালু হবে। রাজ্যের যে সমস্ত সরকারি অফিস জরুরী পরিষেবা সাথে যুক্ত সেগুলি ১০০% কর্মী নিয়ে খুলবে।

✓রাজ্যে সিনেমাহল, মঞ্চ, অডিটোরিয়াম, সদন, স্পা, শপিং মল, স্টেডিয়াম ইত্যাদি জায়গায় ৭০ শতাংশ গ্রাহক/ দর্শক নিয়ে খোলা যাবে। কিন্তু কোনভাবেই রাত ১১ টার বেশি খুলে রাখা যাবে না।

✓প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে যে সমস্ত কোচিং সেন্টার রয়েছে সেগুলি ৭০% ছাত্র নিয়ে খোলা রাখা যাবে।

✓রাজ্যের সমস্ত রেস্টুরেন্ট এবং বারগুলো ৭০ শতাংশ বসার জায়গা নিয়ে খুলে রাখা যাবে, কিন্তু কোনোভাবেই রাত ১১ টার পর তা খোলা থাকবে না।

✓বিভিন্ন রকম সামাজিক অনুষ্ঠান, বিবাহ, ছবির শুটিং থেকে শুরু করে সবকিছুতেই একেবারে ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ থাকতে পারবেন না।

সমস্ত কিছুই করা হবে কোভিড প্রটোকল মেনে।
নির্দেশিকায় আরো বলা হয়েছে রাত ১১ টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত কোনভাবেই সাধারণ মানুষ বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না এবং এই নির্দেশিকা যানবাহনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
তবে আসন্ন কালীপুজো এবং ছট পুজোর ক্ষেত্রে এ নির্দেশিকায় কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। কালীপুজোর ক্ষেত্রে ২ থেকে ৫ নভেম্বর এবং ছট পুজোর ক্ষেত্রে ১০ এবং ১১ ই নভেম্বর রাতের বিধিনিষেধে ছাড় থাকবে।