ওয়েব ডেস্ক; কলকাতা, ২৯শে মে : মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল, এদিন একটি আবেগঘন ব্লাডার ক্যানসার সারভাইভার্স মিট-এর আয়োজন করল। এই বিশেষ মিলনমেলায় ক্যানসারজয়ী রোগী, তাঁদের পরিবার, চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা একত্রিত হয়ে উদযাপন করলেন সাহস, আরোগ্য এবং সচেতনতার এক অনন্য গল্প।

এই আয়োজন শুধু ক্যানসারজয়ীদের জন্য নয়, শ্রদ্ধা জানানো হল তাঁদের প্রিয়জনদেরও যারা এই লড়াইয়ে পরাজিত হয়েছেন—যাতে তাঁরা অনুভব করেন, তাঁদের দুঃখ-ভাগের যাত্রায় তাঁরা একা নন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ইউরোলজিক্যাল ক্যানসার – ব্লাডার ক্যানসার সম্পর্কে সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যও নেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানের আবেগঘন মুহূর্তগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল বাস্তব জীবনের সাহস ও সহিষ্ণুতার গল্পগুলি। প্রয়াত গৌতম মুখার্জীর স্ত্রী মৈত্রেয়ী মুখার্জী ও পুত্র কৌশিক মুখার্জী তাঁদের ক্যানসারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের যাত্রা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন। প্রয়াত বিউটি দাসের কন্যা শ্রীজিতা দাসও তাঁর মায়ের সাহসিক লড়াইয়ের স্মৃতিচারণ করেন।

৩০ জনেরও বেশি ব্লাডার ক্যানসারজয়ী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁদের অনুপ্রেরণামূলক অভিজ্ঞতা শোনান। তাঁদের মধ্যে একজন, কেষ্টপুরের ৪৪ বছর বয়সী গৃহবধূ ঝুনু বিশ্বাস বলেন, “ডিসেম্বর ২০২৩-এ আমার ব্লাডারে একটি টিউমার ধরা পড়ে। ডঃ অভয় কুমার প্রথম অপারেশন করেন এবং বায়োপসিতে ক্যানসার ধরা পড়ে। পরে আবার অপারেশন করতে হয়। আমি মুম্বই গিয়ে চিকিৎসা শুরু করলেও আত্মবিশ্বাস পাইনি। অবশেষে ডঃ কুমারের তত্ত্বাবধানে মেডিকায় ফিরে আসি। ব্লাডার অপসারণের পরামর্শে প্রথমে দ্বিধা থাকলেও জুন ২০২৪-এ সার্জারির পরে আমি সুস্থ হয়ে উঠছি এবং প্রতিদিন আরও শক্তিশালী অনুভব করছি।”

৬০ বছর বয়সী ব্যবসায়ী প্রদীপ মুখার্জী, যিনি সোদপুরের বাসিন্দা, বলেন,
“২০২২ সালে ব্লাডার ক্যানসার ধরা পড়ার পর আমি অবিলম্বে চিকিৎসা শুরু করি। ডঃ অভয় কুমার আমার অস্ত্রোপচার করেন এবং পুরো সময়টায় ভরসা ও সাহস জুগিয়েছেন। মেডিকার টিমের সহায়তায় আমি নতুন করে জীবন শুরু করতে পেরেছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *