শুভাবরি ওয়েবডেস্ক,৮ আগস্ট, কলকাতা: সাধারণত হৃদরোগের জন্য কোন সার্জারি কথা ডাক্তারবাবু যদি বলেন, সে ক্ষেত্রে যে কথাটি প্রথমেই আমাদের মনে আসে তা হল “বাইপাস সার্জারি।” মিনিম্যালি ইনভেসিভ কার্ডিয়াক সার্জারি, যেখানে ছোট ফুটো করে বুকের দুই পাঁজরের মধ্য দিয়ে সরাসরি হৃদযন্ত্রে পৌঁছে চিকিৎসা করা হয়। পূর্ব ভারতে এই ধরনের চিকিৎসা প্রথম করে কলকাতার “অ্যাপোলো গ্লেনেগলস হাসপাতাল”।
আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে ডাক্তার সুশান মুখোপাধ্যায় এবং ডাক্তার জয় বসু এই অভিনব প্রয়াসের কথা জানান। সাধারণত প্রথাগত যে ধরনের ওপেন হার্ট সার্জারির কথা আমরা শুনে থাকি তারও থেকে অভিনব প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে মিনিম্যালি ইনভ্যাসিভ কার্ডিয়াক সার্জারি যে সুবিধাগুলো রয়েছে তা হল:

* এতে যন্ত্রপাতি অত্যন্ত উন্নত মানের, পদ্ধতিও উন্নত এবং অপারেশন নিরাপদেই করা যায়।

* এখানে কোন হাড় কাটতে হয় না।

* এক্ষেত্রে রক্তপাত প্রায় হয় না বললেই চলে, ফলে রক্ত দেওয়ার কোন প্রশ্ন নেই এবং তার জন্য রক্ত বাহিত সংক্রমণও হয় না।
কারণ, বুকে যে ফুটো করা হয় তা দুই থেকে তিন ইঞ্চি।

এক্ষেত্রে হাসপাতালে খুব কম দিনই রোগীকে থাকতে হয় এবং রোগী তাড়াতাড়ি সেরে ওঠেন। স্বাভাবিক অবস্থায় এই ধরনের অপারেশন হলে রোগীরা সাত দিনের মধ্যেই সেরে ওঠেন।

তারা দাবী করেন বাইলেটারাল ইন্টারনাল মেমরি আর্টারি, এই প্রক্রিয়াটি ৪৫ জন রোগীর ওপর করা হয় এবং MICS ১৭০০ রোগীর ওপর সফল পূর্ব করা হয়েছে ।

ডাক্তার সুশান মুখোপাধ্যায় বলেন “গত ছয়-সাত বছর ধরে আমরা মিনিমালি ইনভাসিভ কার্ডিয়াক সার্জারি করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফটিং করে আসছি। এ ধরনের প্রায় ১৫০০ সার্জারি আমরা করেছি । এখন আমরা বুকের বাঁ দিকে দুই ইঞ্চি ছোট ছোট করে বাইলেটারাল ইন্টার্নাল মেমোরি আর্টারি গ্রাফটিং করছি যাতে দুটো বাইলেটারাল ইন্টার্নাল মেমোরি কাজে লাগানো যায়। বুকের দিকে ইন্টার্নাল মেমোরিগুলো তাদের স্বাভাবিক জায়গাতেই ব্যবহার করা যায় এবং যে কোন পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারি। এই যে গ্রাফটিং পদ্ধতি রাতে কাজে লাগিয়ে আমরা ফল বেশ ভালো পাচ্ছি”।