ডিজিটাল; ৭ সেপ্টেম্বর: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শিক্ষক দিবসে পিএম স্কুলস ফর রাইজিং ইন্ডিয়া বা ‘পিএম শ্রী’-এর ঘোষণা করেছেন। দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় সরকার/রাজ্য সরকার/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন/স্থানীয় প্রশাসনের পরিচালিত ১৪ হাজার ৫০০টির বেশি স্কুলের মানোন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের উদ্যোগে এই কর্মসূচি রূপায়িত হবে। নির্বাচিত স্কুলগুলিতে ২০২০ জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুসারে পঠন-পাঠনের কাজ চলবে। এই স্কুলগুলি অনুকরণযোগ্য বিদ্যালয় হয়ে উঠবে এবং নিকটবর্তী অঞ্চলের অন্যান্য স্কুলের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করবে। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলিতে শুধুমাত্র ভালো মানের শিক্ষাদানের পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে না, এখানে ছাত্রছাত্রীদের সার্বিক বিকাশ নিশ্চিত করতে একবিংশ শতাব্দীর চাহিদা অনুযায়ী তাদের দক্ষ করে তোলা হবে।
এই স্কুলগুলিতে আরও বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ থাকবে। এছাড়া খেলনা/খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষাদান (নিচু ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই পদ্ধতিতে শিক্ষাদানে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে), ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অনুসন্ধিৎসু মানসিকতা তৈরি করা এবং একটি নমনীয় ও উপভোগ্য শিক্ষার পরিবেশ এখানে গড়ে তোলা হবে। প্রত্যেক ক্লাসে ছাত্রছাত্রীরা যাতে যথাযথভাবে শিক্ষালাভ করতে পারে সে বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। বাস্তব জীবনে ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন সমস্যার যাতে সহজেই সমাধান করতে পারে সেটিই এই শিক্ষানীতির মূল উদ্দেশ্য। পড়ুয়াদের কম্পিউটার ভিত্তিক ব্যবস্থাপনায় মূল্যায়ণ করা হবে।
এই স্কুলগুলিতে পরীক্ষাগার, উন্নত সুযোগ-সুবিধা যুক্ত শ্রেণীকক্ষ, গ্রন্থাগার, খেলাধুলার সুযোগ-সুবিধা সহ নানা ব্যবস্থা থাকবে। বিদ্যালয় ভবনগুলিতে জল সংরক্ষণ, বর্জ্য পদার্থ, পুনর্ব্যবহার, দক্ষভাবে জ্বালানী ব্যবহারের পরিকাঠামো এবং পরিবেশ বান্ধব জীবনযাত্রা সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থাও করা হবে।
স্কুলের পরিবেশ যাতে আনন্দদায়ক হয় এবং সেখানে উন্নতমানের শিক্ষাদান নিশ্চিত করা যায় সেদিকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এর ফলে আলাদা আলাদা পরিবেশ থেকে আসা ভিন্ন ভাষাভাষির ছাত্রছাত্রীদের চাহিদা পূরণ হবে। ২০২০র জাতীয় শিক্ষানীতির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে তারা শিক্ষালাভ করবে।