ওয়েব ডেস্ক; ১৪ মার্চ, কলকাতা : বসন্ত মানেই নতুন রঙ, নতুন আনন্দ। এই ঋতুর অন্যতম প্রধান উৎসব দোল পূর্ণতা পায় রঙের ছোঁয়ায়। তবে আজকের দিনে দোল মানেই যেন কেবল কেমিক্যাল রঙের আবরণ। অথচ বসন্ত উৎসবের প্রকৃত সৌন্দর্য শুধু বাহ্যিক রঙে নয়, বরং হৃদয়ের গভীরে আনন্দের রঙ ছড়িয়ে দেওয়াতেই এর প্রকৃত সার্থকতা।
সেই ভাবনাকে সামনে রেখেই, কৃত্রিম রঙ নয়, প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ উপহার ফুল দিয়ে বিগত বছরের মতো এবারও ১৩ মার্চ ‘ফুলদোল’ উদযাপন করল শারদীয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট। এই বিশেষ আয়োজনে সমাজের সেই মানুষদের মুখে হাসি ফোটানোর প্রয়াস নেওয়া হয়, যারা চোখে রঙ দেখতে পান না, কিন্তু অনুভূতি দিয়ে রঙকে ছুঁতে পারেন। এই উপলক্ষে ‘লাইট হাউস ফর দ্য ব্লাইন্ড’ স্কুলের প্রায় ৭০ জনেরও বেশি বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুদের সঙ্গে অনন্য এই বসন্তোৎসব পালন করল শারদীয়া পরিবার।
এক দশকের ‘ফুলদোল’: এক সুরেলা উদ্যোগ;
শারদীয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি সৌমন কুমার সাহা জানান, “এবার আমাদের ‘শারদীয়া’র ফুলদোল একাদশতম বর্ষে পদার্পণ করল। দীর্ঘ এক দশক ধরে আমরা ‘লাইটহাউস ফর দ্য ব্লাইন্ড’ স্কুলের বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুদের সঙ্গে এই উৎসব পালন করে চলেছি। ওদের জগতে বাহ্যিক রঙের গুরুত্ব নেই—সব রঙই ওদের কাছে সমান। তাই গন্ধ আর স্পর্শের অনুভূতিই ওদের কাছে সবচেয়ে বড় রঙ। সেই ভাবনাকে মাথায় রেখেই আমরা রঙের বদলে ফুল দিয়ে বসন্তকে বরণ করি।”
সুর, নৃত্য, আর স্পর্শের অনুভূতিতে ভরে উঠল বসন্ত;
এই বিশেষ দিনে বিশেষ ভাবে সক্ষম ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবেশিত নৃত্য ও সঙ্গীত সকলকে মুগ্ধ করেছে। শারদীয়া পরিবারের সদস্যদের সুরের ছোঁয়ায় বসন্ত যেন আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল।
উৎসবে উপস্থিত থেকে যাঁরা বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিলেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শারদীয়া’র ট্রাস্টি জয়ন্ত মন্ডল । তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “এই উদ্যোগ শুধু আনন্দের নয়, এটি ভালোবাসার এক অনন্য উৎসব, যা শিশুদের মনে স্পর্শ ও সুবাসের মাধ্যমে রঙের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে। শারদীয়ার এই প্রয়াস
‘লাইটহাউস ফর দ্য ব্লাইন্ড’ স্কুলের দৃষ্টিহীন শিশুদের কাছে এক বিশেষ দিন হয়ে উঠেছে, এবং আমরা আশা করি এই প্রচেষ্টা আগামী বছরগুলিতেও আরো ভালোভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো ।”