ওয়েব ডেস্ক; ২৩ মার্চ : দেশজুড়ে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় রূপান্তরমূলক পরিবর্তন আনতে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক কৃত্রিম মেধার প্রসার ঘটাচ্ছে। দিল্লির এইমস, চণ্ডীগড়ের পিজিআইএমইআর এবং ঋষিকেশের এইমসকে মন্ত্রক কৃত্রিম মেধার উৎকর্ষকেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এর লক্ষ্য হল, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কৃত্রিম মেধার প্রসার ঘটিয়ে সমাধানসূত্রের দিশানির্দেশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক রোগ নির্ণয় সহায়ক ব্যবস্থার কৃত্রিম মেধা-ভিত্তিক সমাধানসূত্রে ই-সঞ্জীবনী নিয়ে এসেছে।

সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে কৃত্রিম মেধার মাধ্যমে দেশজুড়ে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত সংবাদ সংগ্রহ করে তা বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয় যাতে প্রাথমিক অবস্থাতেই রোগ নির্ণয় করা যায় এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়। ২০২২ সালের এপ্রিল মাস থেকে ৪,৫০০ এই জাতীয় সতর্কবার্তা প্রকাশিত হয়েছে যার ফলে রোগ ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করা গেছে এবং মৃত্যহার কমেছে। জাতীয় টেলি-মেডিসিন মঞ্চ যা ই-সঞ্জীবনী নামে পরিচিত, তাতে রোগ নির্ণয়ে কৃত্রিম মেধা-ভিত্তিক সহায়ক ব্যবস্থাকে যুক্ত করা হয়েছে। এতে চিকিৎসা সংক্রান্ত গুণগত মান, রোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে কৃত্রিম মেধা-ভিত্তিক রোগ নির্ণয় সমাধানসূত্র দেওয়া হয়েছে। ই-সঞ্জীবনীর মাধ্যমে ১৯ কোটি ৬০ লক্ষ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যার মধ্যে ১ কোটি ২০ লক্ষ পরামর্শ কৃত্রিম মেধা-ভিত্তিক।

যক্ষ্মা নির্মূল কর্মসূচিতে গোষ্ঠীভিত্তিক ফুসফুসের যক্ষ্মা নির্ণয়ে কৃত্রিম মেধা ব্যবহার করা হয়েছে। এতে করে দেখা গেছে যে ১২-১৬ শতাংশ যক্ষ্মা রোগাক্রান্তের ক্ষেত্রে প্রথামাফিক প্রক্রিয়াতে রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা হলে অনেক রোগীই বাদ চলে যেতেন। এর ফলে, যক্ষ্মার কুফল বহুলাংশে দূর করা গেছে। এই ব্যবস্থার ফলে ক্ষতি ২৭ শতাংশ কমানো গেছে।

ক্ষেত্র-ভিত্তিক জনস্বাস্থ্যে কৃত্রিম মেধার এই ব্যবহার মন্ত্রক গ্রহণ করেছে।

লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রতাপ রাও যাদব এই তথ্য জানিয়েছেন।