ওয়েব ডেস্ক; ২২ জানুয়ারি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি ২০২৫-২৬ বিপণন মরশুমে কাঁচা পাটের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে অনুমোদন দিয়েছে।
এই মরশুমে কাঁচা পাট (টিডি-৩ গ্রেড) – এর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ক্যুইন্টাল প্রতি ৫ হাজার ৬৫০ টাকা, যা গড় উৎপাদন ব্যয়ের তুলনায় ৬৬.৮ শতাংশ বেশি। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের বাজেটের ঘোষণা অনুযায়ী, কৃষি পণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য উৎপাদন ব্যয়ের অন্তত দেড় গুণ হতে হবে।
২০২৫-২৬ বিপণন মরশুমে কাঁচা পাটের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য আগের মরশুমের তুলনায় ক্যুইন্টাল প্রতি ৩১৫ টাকা বেশি। ২০১৪-১৫’য় ক্যুইন্টাল প্রতি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ছিল ২ হাজার ৪০০ টাকা।
ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাবদ ২০১৪-১৫ থেকে ২০২৪-২৫ পর্যন্ত কৃষকদের ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ২০০৪-০৫ থেকে ২০১৩-১৪ পর্যন্ত এ বাবদ ৪৪১ কোটি টাকা দেওয়া হয়।
পাট শিল্পের উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল প্রায় ৪০ লক্ষ কৃষক পরিবার। পাটকল ও বাণিজ্যের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত ৪ লক্ষ শ্রমিক। গত বছর ১ লক্ষ ৭০ হাজার কৃষকের থেকে পাট কেনা হয়েছে। পাট চাষীদের মধ্যে ৮২ শতাংশই পশ্চিমবঙ্গের। বাকিরা রয়েছেন মূলত আসাম ও বিহারে।
পাট চাষের ক্ষেত্রে মূল্য সহায়তা এবং ক্ষতি পূরণের বিষয়টির দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া।