সৌভাগ্য প্রকল্পটি সূচনার পর থেকে সারাদেশে ২.৮২ কোটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে। এই প্রকল্পে ২০১৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত শহর ও গ্রামীণ এলাকায় ১৮ মাসের রেকর্ড সময়ে ২.৬৩ কোটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়া গেছে। অন্যদিকে, সাতটি রাজ্য, আসাম, ছত্রিশগড়, ঝাড়খন্ড, কর্ণাটক, মনিপুর, রাজস্থান এবং উত্তর প্রদেশের ১৮.৮৫ লক্ষ বাড়ি ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিদ্যুৎবিহীন ছিল। যে বাড়িগুলি বিদ্যুৎ নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের অনীহার কথা জানিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁরা বিদ্যুৎ নেওয়ার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করলে তাদেরকেও এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

সৌভাগ্য প্রকল্পটি বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশ্বের সর্ববৃহৎ অভিযান। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন। এবছর এই প্রকল্পটি চার বছর পূর্ণ হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশ জুড়ে বিদ্যুৎবিহীন প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

এই প্রকল্পটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬,৩২০ কোটি টাকা। এরমধ্যে বাজেট বরাদ্দ রয়েছে ১২,৩২০ কোটি টাকা।

দেশের প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পের জন্য অর্থের যোগান দিচ্ছে।

গ্রামীণ এলাকায় প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে দিনদয়াল উপাধ্যায় গ্রাম জ্যোতি যোজনার প্রবর্তন করা হয়েছিল। এরপর প্রধানমন্ত্রী সহজ বিজলি হর ঘর যোজনার মাধ্যমে বিদ্যুৎবিহীন বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

সৌভাগ্য প্রকল্পের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া বাড়ি গুলিতে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি রাজ্যকে বিশেষ প্রচার অভিযান চালানোর জন্য বলা হয়েছে যাতে কোন বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন হয়ে না থাকে। এজন্য একটি টোল ফ্রি হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে।