ডিজিটাল; ২২ এপ্রিল: অটল পেনশন যোজনায় মোট নাম নথিভুক্তিকরণের সংখ্যা ৪ কোটি ১ লক্ষ ছাড়িয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে গত মার্চ পর্যন্ত যোজনায় ৯৯ লক্ষের বেশি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। সব ধরণের ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে সক্রিয় অংশগ্রহণের ফলেই অভাবনীয় এই সাফল্য এসেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ক্ষেত্রের ব্যাঙ্কগুলিতে যোজনায় প্রায় ৭১ শতাংশ নাম নথিভুক্ত হয়েছে। আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলিতে ১৯ শতাংশ, বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে ৬ শতাংশ তথা পেমেন্ট ও ক্ষুদ্র অর্থ সহায়তা ব্যাঙ্কগুলিতে ৩ শতাংশ নাম নথিভুক্ত হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া নাম নথিভুক্তকরণের ক্ষেত্রে বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে।

আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে বিদর্ভ কোঙ্কন ব্যাঙ্ক, ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, উত্তরবঙ্গ ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, বরোদা গুজরাট গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, মহারাষ্ট্র গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, ওড়িশা গ্রাম্য ব্যাঙ্ক, মধ্যপ্রদেশ গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, কর্ণাটক বিকাশ গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, তেলেঙ্গানা গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, অন্ধ্রপ্রদেশ গ্রামীণা বিকাশ ব্যাঙ্ক, প্রথমা ইউপি গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, পাঞ্জাব গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, মণিপুর গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, উত্তরাখন্ড গ্রামীণ ব্যাঙ্ক প্রভৃতি বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে। অন্যান্য শ্রেণীর ব্যাঙ্কের মধ্যে এইউ স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্ক, শ্রী মহিলা সেবা সহকারী ব্যাঙ্ক, দ্যা কালুপুর কমার্সিয়াল সমবায় ব্যাঙ্ক, রাজকোট নাগরিক সহকারী ব্যাঙ্ক তাদের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হয়েছে।

এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ সহ ৯টি রাজ্যস্তরীয় ব্যাঙ্কার কমিটি অটল পেনশন যোজনার আওতায় বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে।

অটল পেনশন যোজনায় ২০২২-এর ৩১শে মার্চ পর্যন্ত মোট নথিভুক্তির মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ গ্রাহক ১ হাজার টাকা পেনশন সুবিধা, ১৩ শতাংশ গ্রাহক ৫ হাজার টাকার পেনশন সুবিধা গ্রহণ করেছেন। যোজনার আওতায় মোট গ্রাহকের ৪৪ শতাংশই মহিলা এবং বাকি ৫৬ শতাংশ পুরুষ। এমনকি, এই যোজনার মোট গ্রাহকের মধ্যে ৪৫ শতাংশের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গতবছর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে অটল পেনশন যোজনা সহ সরকারের অন্যান্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলির একত্রিতকরণের ওপর জোর দিয়েছিলেন, যাতে এধরণের কর্মসূচির সুযোগ-সুবিধা প্রত্যেক যোগ্য ব্যাক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অথরিটি (পিএফআরডিএ) অটল পেনশন যোজনা পরিচালনা করে থাকে। ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী যে কোন ভারতীয় ব্যাঙ্ক অথবা ডাকঘর শাখার মাধ্যমে এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেন। তবে, এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য সেভিংস অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। কর্মসূচির আওতায় একজন গ্রাহক তার প্রিমিয়াম প্রদানের ওপর ভিত্তি করে ৬০ বছর বয়স পূর্ণ করলেই মাসিক ১ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা নিশ্চিত পেনশনের সুবিধা নিতে পারেন। গ্রাহকের মৃত্যুর পর তার স্বামী/স্ত্রী পেনশনের সুবিধা পাবেন। অবশ্য গ্রাহক এবং তার স্বামী বা স্ত্রী উভয়ের মৃত্যু হলেই সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত মোট যে পরিমাণ অর্থ সঞ্চিত হয়েছে, তা নমিনীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

পিএফআরডিএ অটল পেনশন যোজনার আওতায় নাম নথিভুক্তিকরণের সংখ্যা এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে এবং ভারতবাসীকে পেনশন প্রাপক সমাজে পরিণত করার লক্ষ্যে অবদান রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
তথ্য: পি আই বি