সীমান্তে পৃথক দুটি ঘটনায় বন্য পাখি আটক করেছে বিএসএফ জওয়ানরা। গত ৩১জানুয়ারি প্রথম ঘটনায়, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত, সীমা চৌকি তারালি,১১২ ব্যাটালিয়ন এর সতর্ক জওয়ানরা সীমান্ত এলাকায় ১০০টি বন্য পাখি (৮০টি সবুজ তোতা এবং ২০টি হলুদ ককটিয়েল) ধরেছে। যা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার এলাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল চোরাকারবারীরা।
ঐ দিন একটি বিশেষ তথ্যের ভিত্তিতে ১১২ ব্যাটালিয়ন সীমান্ত পোস্ট তারালির সমস্ত জওয়ানদের সতর্ক করা হয়। সন্ধা আনুমানিক সাড়ে ৬ টা নাগাদ উল্লিখিত স্থানে অ্যামবুশ স্থাপন করা হয়। অতর্কিত হামলার সময় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের জওয়ানরা কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দেখেন যারা মাথায় খাঁচা নিয়ে বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। একই সময়ে, জওয়ানরা তাদের চ্যালেঞ্জ করে এবং তাদের ধরতে ধাওয়া করে, কিন্তু পাচারকারীরা ঘন অন্ধকার এবং জঙ্গলের সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। জওয়ানরা যখন সেই এলাকায় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি চালায়, তল্লাশির সময়, এলাকা থেকে ০৬টি খাঁচা উদ্ধার করা হয়, যার মধ্যে ৮০টি সবুজ তোতা এবং ২০টি হলুদ ককাটিয়েল পাওয়া যায়।
দ্বিতীয় ঘটনায় নদীয়া জেলার সীমান্ত এলাকায় বিরল পাখির চোরাচালান নস্যাৎ করতে গিয়ে চোরাকারবারিদের কবল থেকে দুটি বিরল প্রজাতির পাখিকে (সিনেরিয়াস ভ্যালচার) মুক্ত করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
গত ১ ফেব্রুয়ারী সকাল আনুমানিক ০৫ টা ৫০ মিনিট নাগাদ বর্ডার ফাঁড়ি ব্রহ্মনগর, ৮২ ব্যাটালিয়ন এর সতর্ক জওয়ানরা বাংলাদেশের দিক থেকে আসা চোরাকারবারিদের থামানোর জন্য চ্যালেঞ্জ করে এবং চোরাকারবারীরা ফিরে যায়। জওয়ানরা ঘটনাস্থল থেকে দুটি ব্যাগে দুটি বিরল প্রজাতির পাখি (Cinereous Vulture) উদ্ধার করে।
বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বাজেয়াপ্ত পাখিগুলোকে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথাক্রমে কাস্টম বিভাগ তেঁতুলিয়া ও বন বিভাগ কৃষ্ণনগরের কাছে হস্তান্তর করেছে।
জনসংযোগ অধিকারী, দক্ষিণ বঙ্গ ফ্রন্টিয়ার বলেন, সীমান্ত দিয়ে বিরল প্রজাতির পাখি পাচার বন্ধে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি ১১২তম এবং ৮২তম ব্যাটালিয়ন আর জওয়ানদের কৃতিত্বে খুশি প্রকাশ করেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, আমরা কোনো অবস্থাতেই আমাদের এলাকা থেকে চোরাচালান হতে দেব না।