শুভাবরি ওয়েবডেস্ক, ৩ এপ্রিল, দেবাঞ্জন দাস, কলকাতাঃ কলকাতার ব্রিগেড ময়দান সকাল থেকেই ভড়তে শুরু করেছে । একে একে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী এবং রাজ্য নেতৃত্বের বিভিন্ন হেভি ওয়েট নেতারা ভাষন দিচ্ছিলেন । অপেক্ষামান ভিড় ছিল শুধু তাদের নেতাকে দেখা এবং তার কথা শোনার জন্য ।
হেলিকপ্টারের আওয়াজের সাথে সাথেই অপেক্ষার অবসান। মঞ্চে আসলেন প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বাংলায় সম্বর্ধনা জানলেন জনসমুদ্রকে। লেখক বঙ্কিমচন্দ্র , কবি জয়দেব, লালন ফকির, নেতাজির এই ভূমিকে বললেন ,” বাংলা বিপ্লব ও কবিতা দিয়ে নতুন ভারত গড়ে তুলতে সক্ষম। এ বাংলা থেকে আমি অনেক সমর্থন পেয়েছি”। তিনি বলেন,” আজ সবই মোদী হটাও মোদী হটাও শ্লোগান দিচ্ছে , আমি যদি সবাই কে ঘর ,সবাইকে শৌচালয়৷ গরিবদের গ্যাসের ব্যবস্থা করা যদি দোষ হয় ,তাহলে আমি দোষী । এখন গরিবদের সংরক্ষণ সম্ভব হয়েছে । ভারত এখন নতুন পথের দিশা খুজে পাচ্ছে। ” তার দাবী,” ৫৫বছর ধরে কেন্দ্রে লোকতন্ত্রের জায়গায় পরিবারতন্ত্র চলছিল। মানুষ ২০১৪তে তার অবসান ঘটিয়েছেন। সেরকমই এরাজ্যেও পরিবারতন্ত্রের ছায়া তৈরি করছে কিছু রাজনৈতিক দল। এই বাংলার মানুষ আজ এই পরিবার তন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে এবং সেটা হবেই। কিছু কিছু রাজনৈতিক দল মোদী বিরোধিতা করতে গিয়ে দেশ বিরোধী কথা বলছেন। দেশের প্রযুক্তিকে অসম্মান করছে “।
তার কথায় ,” ভারত এখন চতুর্থ শক্তিশালী দেশ। অনেক অসম্ভব এখন সম্ভব হয়েছে । সেনার স্বাধীনতাকে হরণ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।ডিজিটাল ইন্ডিয়ার মতো বিষয় যা মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে- তাকে খর্ব করা হচ্ছে।”
জনসমুদ্র থেকে তখন একটাই শ্লোগান আবার মোদী সরকার । এখন দেখা যাক এই নিয়ে তিনটি ব্রিগেড সমাবেশ হলো কল্লোলীনিতে , কার পাল্লা বেশী ভারি সেটার উত্তর এখন ২৩মেতে।