ডিজিটাল; ২২ এপ্রিল: কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর সম্প্রতি মুম্বাইয়ের পেডার রোডে ফিল্মস্‌ ডিভিশন কমপ্লেক্সে অবস্থিত ভারতীয় চলচ্চিত্রের জাতীয় সংগ্রহশালা পরিদর্শন করেছেন।

এই সংগ্রহশালায় দুটি ভবন রয়েছে। সংগ্রহশালা ঘুরে দেখার পর মন্ত্রী জানান, চলচ্চিত্র বিশেষ করে ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রতি যাঁদের আগ্রহ রয়েছে, তাঁদের অবশ্যই এই জাতীয় সংগ্রহশালা ঘুরে দেখা উচিৎ। মুম্বাই থাকাকালীন এই সংগ্রহশালা না দেখলে মুম্বাই সফর অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।

সারা দেশে চলচ্চিত্র প্রেমী এবং চলচ্চিত্রের প্রতি কৌতূহলী ব্যক্তিদের ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাস ও বিবর্তন সম্পর্কে জানতে এই সংগ্রহশালা পরিদর্শনের আহ্বান জানান শ্রী ঠাকুর। তিনি বলেন, “এই সংগ্রহশালায় কিছু সময় কাটান। এই সংগ্রহশালা আপনাকে ১০০ বছর পেছনে নিয়ে যাবে। যখন কোনও আধুনিক প্রযুক্তি বা সরঞ্জাম ছাড়াই চলচ্চিত্র তৈরি হ’ত”। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, “আজ আমরা অ্যানিমেশন, ভিজ্যুয়াল এফেক্টস্‌, গ্রাফিক্স ও গেমিং, প্রযুক্তি সম্পর্কে কথা বলি। কিন্তু, এখানে আমরা দেখতে পাব, কিভাবে সেই সময় এগুলির অনুপস্থিতিতেই চলচ্চিত্র তৈরি হ’ত এবং এখনও পর্যন্ত কতটা অগ্রগতি হয়েছে”। চলচ্চিত্রের শুটিং-এর জন্য রুক্ষ ভূমিতে এত বড় ক্যামেরা বহন করতে সেই সময়ের চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযুক্তিবিদদের যে কষ্ট হ’ত, সেকথাও তুলে ধরেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রযুক্তি মানুষের জীবন ও চলচ্চিত্র নির্মাণে স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিয়েছে।

গুলশন মহল হেরিটেজ বিল্ডিং-এ বিভিন্ন আকারের ৮টি ভিন্ন হল ঘর জুড়ে বিস্তৃত নির্বাক যুগ থেকে নিউ ওয়েভ পর্যন্ত ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাস প্রদর্শিত হয়েছে। চলচ্চিত্র কাজে ব্যবহৃত অতীতের সরঞ্জাম, পোস্টার, গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্রের কপি, প্রচারমূলক লিফলেট, সাউন্ড ট্র্যাকস্‌, পুরনো চলচ্চিত্র ম্যাগাজিন ইত্যাদি পরস্পর সাজিয়ে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসকে কালানুক্রমিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ফিল্ম ডিভিশনের মহানির্দেশক রবীন্দ্র ভাকর এই সংগ্রহশালার বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।

চলচ্চিত্র হ’ল ভারতের সবচেয়ে বড় সফট পাওয়ার : চলচ্চিত্র সম্পর্কে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, “ভারতীয় চলচ্চিত্র হ’ল – আমাদের দেশের সফট্‌ পাওয়ার, যা সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে বিরাজ করে”। তিনি আরও বলেন, বিনোদনের মাধ্যমে ভারতীয় চলচ্চিত্র বিশ্বে দেশের একটি পরিচিতি তৈরি করতে সফল হয়েছে। শ্রী ঠাকুর জানান, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি চলচ্চিত্র ভারতে তৈরি হয়।

প্রথা অনুযায়ী, এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সংগ্রহশালা প্রাঙ্গণে বৃক্ষ রোপণ করেন। ফিল্ম ডিভিশন, ভারতীয় চলচ্চিত্রের জাতীয় সংগ্রহশালা, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন এবং এনএফডিসি – এর আধিকারিকদের সঙ্গে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করে তিনি। এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী টাইমস্‌ গ্রুপের ইন্ডিয়া ইকনমিক কনক্লেভের উদ্বোধন করেন এবং বক্তব্য রাখেন।