ওয়েব ডেস্ক; কলকাতা , ১২ অক্টোবর : কলকাতার পোলো ফ্লোটেল (পূর্বতন ফ্লোটেল হোটেল) এবারের দুর্গাপুজো উদযাপনের জন্য প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। পোলো ফ্লোটেল কলকাতার পুজো উদযাপনের ক্ষেত্রে শহরের মানুষের জন্য একটি এক্সক্লুসিভ পুজো মেনু চালু করার কথা ঘোষণা করেছে। নতুন পুজো মেনু লঞ্চ করার সঙ্গে সঙ্গে, পোলো ফ্লোটেল ঐতিহ্যবাহী খাঁটি বাঙালি খাবারের দীর্ঘদিনের পুরোনো ও হারিয়ে যাওয়া স্বাদের শৈশবের স্মৃতিকে ফিরিয়ে আনতে প্রস্তুত হয়েছে।

আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, আপগ্রেড ফেসিলিটি, ঐতিহ্যসম্পন্ন সাজসজ্জা এবং অনবদ্য পরিষেবা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দ্বারা সজ্জিত, এই হোটেলটি বিলাসিতাকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে গিয়েছে। গঙ্গার ওপর ভাসমান পোলো ফ্লোটেল তার মন্ত্রমুগ্ধকর পরিবেশের সঙ্গে শহরের সেরা দৃশ্যকে তুলে ধরে। উত্তেজনাপূর্ণ বোট রাইড থেকে শুরু করে অনেক শ্বাসরুদ্ধকর দর্শনীয় স্থানের সাক্ষী হওয়া এবং ‘সিটি অফ জয়’-এর অসংখ্য দিক তুলে ধরার পাশাপাশি একাধিক সুস্বাদু খাবারের অভিজ্ঞতা প্রদানকারী এই পোলো ফ্লোটেল অনন্য অভিজ্ঞতামূলক কার্যাবলীর মধ্যে অন্যতম হল, একটি হোস্ট হিসেবে একটি বিশেষ দিনের জন্য গ্রাহকদের সামনে বিশেষ খাবারের অপশনের দুর্দান্ত এক পরিসর সরবরাহ করা।

দুর্গাপুজোর জন্য এই মেনু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে কলকাতার পোলো ফ্লোটেল-এর জেনারেল ম্যানেজার সৌমেন হালদার বলেন, “আমরা আমাদের বিশেষ এবং ঐতিহ্যবাহী খাঁটি বাঙালি খাবারের পুজোমেনু দিয়ে এবারের দুর্গাপুজোকে স্বাগত জানাতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা পোলো ফ্লোটেল-এ, যেটি গ্রাহকদের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে উল্লেখযোগ্যভাবে আপগ্রেড করা হয়েছে, এবং যেটি উৎসব সমাবেশের জন্য একটি আদর্শ স্থান, সেখানে গ্রাহকদের জন্য একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা এনে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই হোটেলটির চমৎকার অবস্থান উপভোগ করার মত, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ শহরের ল্যান্ডমার্ক থেকে সহজেই পৌঁছানো যায়। এই হোটেলটি একই সঙ্গে ব্যবসা এবং অবসর বিনোদন করতে আসা ভ্রমণকারী, উভয়ের জন্যই একেবারে আদর্শ।”

সৌমেন হালদার যোগ করেন, “এই উৎসবের মরসুমে, আমাদের লক্ষ্য হল ঐতিহ্যবাহী খাঁটি বাঙালি খাবারের স্বাদের শৈশবের স্মৃতিকে ফিরিয়ে আনা, যা আজকাল খুব কমই পাওয়া যায়। আমরা আমাদের সুস্বাদু খাবারে আসল স্বাদ এনে দিতে মশলার জন্য গ্রাইন্ডার ব্যবহার করি না। সবচেয়ে মজার বিষয় হল, আমরা যে মাছগুলি পরিবেশন করি, সেগুলি সরাসরি আমাদের ‘মাঝিদের’ কাছ থেকে সংগ্রহ করি। আমরা আমাদের অতিথিদের পরিবেশনের জন্য যে কোনও সময় টাটকা মাছ পেয়ে পেয়ে থাকি, যা আমাদের মেনুটিকে আরও বিশেষ করে তোলে এবং পাশাপাশি লোকাল কমিউনিটিকেও সাহায্য করা হয়, যেটি আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। এছাড়াও, আমরা স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় টাটকা সবজি পাই যার ফলে সংগ্রহ করা থেকে শুরু করে প্রস্তুতি পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া এবং সবশেষে উপস্থাপনা, একটি খাঁটি অনুভূতি এবং টাচ এনে দেয়। এই প্রেক্ষাপটে আপনার প্রিয়জনদের সঙ্গে পবিত্র গঙ্গার উপরে অবস্থান করে উৎসব উদযাপন করার চেয়ে ভাল উপায় আর কী হতে পারে।”