ওয়েব ডেস্ক ; ২৯ নভেম্বর : ভারতের উদ্ভিদ সংক্রান্ত সমীক্ষা (বিএসআই) থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, হাওড়া-স্থিত এ জে সি বোস ভারতীয় বোটানিক্যাল গার্ডেন (এজেসিবিআইবিজি) উদ্ভিদের পরিস্থিতি সংরক্ষণের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। এখানে ২০ হাজারেরও বেশি গাছপালা এবং ৩ হাজারেরও বেশি প্রজাতির ফুল ও ফুল ছাড়া গাছ রয়েছে। বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষগুলির চারা বোটানিক্যাল গার্ডেন ও বন বিভাগে বিতরণ করা হয়।
জেসিবিআইবিজি সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ বেছে নিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৯০ ধরনের জলজ উদ্ভিদ রয়েছে। ঔষধি শাখায় ৪০০-রও বেশি গাছ রয়েছে। বাঁশ প্রজাতির উদ্ভিদের সংখ্যা ৫০-এরও বেশি।
এজেসিবিআইবিজি বাস্তুতন্ত্রের ও জৈব বৈচিত্র্যের সবুজের রক্ষায় কাজ করে চলেছে। হুগলী নদীর তীরে সবুজায়নের জন্য ১০ ধরনের ৩ হাজারেরও বেশি ম্যানগ্রোভ জাতীয় উদ্ভিদ রোপণ করা হয়েছে।
এজেসিবিআইবিজি-র পুরনো ভবন সংরক্ষণের জন্য ভারতের উদ্ভিদ সমীক্ষা বিভাগ ও ভারতের শিল্প ও সংস্কৃতির ঐতিহ্য রক্ষা সংক্রান্ত জাতীয় ট্রাস্ট (আইএনটিএসিএইচ) – এর মউ বা সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এজেসিবিআইবিজি-তে প্রতিদিন প্রায় ৮ হাজার প্রাতঃভ্রমণকারী আছেন। এখানে প্রতি বছর গড়ে ৫ লক্ষেরও বেশি দর্শনার্থী আসেন। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ২৫ হাজারেরও বেশি পড়ুয়া ও গবেষকরাও এখানে শিক্ষামূলক ভ্রমণের জন্য আসেন। ন্যূনতম যেসব সুবিধা প্রয়োজন, যেমন- ফুটপাথ, বসার ব্যবস্থা, পানীয় জল এবং শৌচাগার রয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৮ হাজারেরও বেশি চারাগাছ সংরক্ষণ করা হয়েছে। এগুলির সংরক্ষণই প্রধান লক্ষ্য। এখানে শ্বেত চন্দন, রক্ত চন্দন, সীতা অশোক, নিম, অমলতাস, চাঁপার মতো ১৫০টিরও বেশি দুর্লভ প্রজাতির গাছ রয়েছে।
এজেসিবিআইবিজি-তে সাধারণত ঔষধি উদ্ভিদের জন্য আলাদা বাগান, অর্কিড এবং নানারকম আদার আলাদা আলাদা শাখা চালু করা হচ্ছে।
এজেসিবিআইবিজি সংরক্ষণের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের চাহিদা পূরণ জৈব বৈচিত্র্য সংরক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণকে যথাযথ তথ্য প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এতথ্য জানান কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শ্রী কীর্তি বর্ধন সিং।