
শুভাবরি ওয়েবডেস্ক, ৩১ অক্টোবর, দেবাঞ্জন দাস, কলকাতা: গত ৩ অক্টোবর যখন সবাই মেতে ছিল দুর্গাপুজোর মহাপঞ্চমীর আনন্দে, তখনই ৫৮ বছর বয়সী সমীর ব্যানার্জি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে কিছুটা প্যারালাইসিস অবস্থায় ভর্তি হন কলকাতার অ্যাপোলো হসপিটালে। সেদিন থেকে ডা. দেবব্রত চক্রবর্তী এবং ডা. সদানন্দ দের চিকিৎসায় সমীরবাবু নতুন জীবনে ফিরে পেয়েছেন —— দাবি করলেন সমীর বাবুর স্ত্রী ।

২৯ শে অক্টোবর “ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক ডে ” উপলক্ষে আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে অ্যাপেলো হসপিটাল, কলকাতা। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিউরোলজিস্ট এবং স্ট্রোক বিশেষজ্ঞ ডা. দেবব্রত চক্রবর্তী এবং ডা. সদানন্দ দে। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে সম্পূর্ণ দুর্গাপুজো সুস্থভাবে কাটানোর সেই মানুষ সমীর ব্যানার্জি ও তার পরিবার।
২০১৮ সালে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে প্রতিবছর স্ট্রোকের ফলে ছয় মিলিয়ন মানুষ মারা যায়। ডা. দেবব্রত চক্রবর্তী বলেন, “ইসকেমিক স্ট্রোক থেকে নিজেদের জীবনকে সরিয়ে রাখার অন্যতম উপায় হল রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার পরিমাণ ন্যূনতম রাখা। এছাড়া যদি কোন সময় বোঝা যায় যে কোন মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন, সে ক্ষেত্রে তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে সেখানে সমস্ত রকম চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে। স্ট্রোক হওয়ার ঠিক এক ঘণ্টা সময়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। উপস্থিত ডা. সদানন্দ দে বলেন, “বর্তমানে স্ট্রোকের জন্য অনেক নতুন নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার হয়েছে। কিছু কিছু সময় স্ট্রোকের কারণে দেহের কোন অংশে ব্লাড জমে যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের ওষুধ এবং চিকিৎসার মাধ্যমে আমরা সেই জমাট বাঁধা রক্তকে খুব তাড়াতাড়ি সরিয়ে ফেলতে পারি এবং রোগীকে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিতে পারি। অবশ্যই যদি রোগীকে ঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। মুখমন্ডলের পরিবর্তন, দুর্বলতা, কথাবার্তায় অসংগতি —-এই লক্ষনগুলো স্ট্রোকের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে”।
এই সাংবাদিক সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হলো, স্ট্রোকের ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা, যাতে তারা যেন সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছিয়ে তাদের প্রান বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে।