চন্দন চ্যাটার্জি

নাঙ্গা বাবা প্রথম পর্ব

নাঙ্গা বাবা ২য় পর্ব

নাঙ্গা বাবা বলতেন, “কলি যুগে মানুষের আয়ু কম। দৃঢ় দেহ, দৃঢ় মন কোথায়? স্বাস্থ্যহানি ও সাংসারিক নানা দুঃখ দারিদ্রে তারা সদা আচ্ছন্ন। যোগ ও তন্ত্র সাধনা তাদের পক্ষে তেমন উপযোগী নয় ৷ তাই বেদান্ত সাধনার পথে ধীরে ধীরে চলার অভ্যাস করাই এই কলি যুগের মানুষের পক্ষে কল্যাণদায়ক।”

বাবা ভক্তদের বলতেন, “দেখো জীবনে বহু শ্বাস তোমরা এমনিই নষ্ট করছে এতগুলো বছর ধরে। এবার যতটুকু অবশিষ্ট আছে সেই গুলো ঈশ্বর ভাবনায় লাগাও ৷ তাতেই তোমাদের কল্যাণ হবে, আসবে সত্যিকারের শান্তি।”

লোকোশ্রুতি, বহু বছর আগে এক ডায়াবেটিস রোগী প্রায় মৃত অবস্থা থেকে নাঙ্গা বাবার আশীর্বাদে জীবিত হয়ে ওঠেন। কিন্তু এই মহাসাধক সেই রোগটি নিজের শরীরে বহন করতে থাকেন। এটা জানতে পেরে এক ভক্ত বললেন, বাবা এই রোগটির দিকে নজর দিতে হবে। তার উত্তরে তিনি সহজ ভাষায় বলেছিলেন, ‘এই রোগটি হচ্ছে আমার কাছে রাখা একটি মাত্র তির। যেটা আমি আমার জীবনের জন্য রেখেছি। শেষ সময় এই তিরটি আমাকে এই নশ্বর দেহ ত্যাগে সাহায্য করবে।’

১৯৬১ সালের ২৮ আগস্ট নাঙ্গা বাবা তার মর্ত লীলা সাঙ্গ করলেন। গির্ণারী পাহাড়ের চূড়ায় যে আলোক দীপ এত বছর ধরে জ্বলছিল এবার তা নিভে এলো। কিন্তু তিনি রেখে গেলেন তার অমৃতবাণী আর কয়েক সহস্র অনুগামী।